Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়নকে তছনছ করতে পারে

গণতন্ত্রের সংকট

প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৮ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০১৬

রফিকুল ইসলাম সেলিম : রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দেশে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে সুতীব্র সংঘাতের বিষয়ে পরিণত করেছে। যা ঘটনা পরম্পরায় ক্ষমতার পালাবদল ইস্যুটি গণতন্ত্রের পথ থেকে ছিটকে গিয়ে খোদ গণতন্ত্রকেই গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছে। গণতন্ত্রের এ সংকট দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে যে কোন সময় তছনছ করে দিতে পারে। বর্তমান গণতন্ত্রের সংকট এবং জঙ্গিবাদী তা-ব জাতির সব অর্জনকে তছনছ করে দিতে উদ্যত হয়েছে। বিগত ’১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্তমান মহাজোট সরকারকে সাংবিধানিক বৈধতা দিলেও ‘জনবৈধতা’ (পপুলার লেজিটিমেসি) দিতে পারেনি। স্বীকার করতেই হবেÑ জাতি আজ বিপজ্জনকভাবে বিভক্ত। এই রাজনৈতিক বিভাজনের গহ্বর থেকে জাতিকে মুক্ত করতেই হবে। সত্যিকারভাবে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমের পথেই রাজনৈতিক বিভাজন থেকে জাতির মুক্তি আসবে। এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের ইউজিসি প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইস্ট ডেল্টা ভার্সিটির ভিসি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খান ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল (রোববার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রীভবন ও গণতন্ত্রের সংকট : উন্নয়ন সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে’ শীর্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারক বক্তৃতায় একক স্মারক বক্তা হিসেবে প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম সুদীর্ঘ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গণতান্ত্রিক সংবিধানের নামে ‘নির্বাচিত একনায়কতন্ত্র’ কায়েমের সাংবিধানিক আয়োজন যতদিন জাতি বদলাতে না পারবে, ততদিন শান্তিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের টেকসই ব্যবস্থা আমরা অর্জন করতে পারব না। তিনি বলেন, ৪৪ বছর পার হয়ে এসে এখন আমাদের মনে শঙ্কা জেগেছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশ যে ‘গণতন্ত্রের সংকটে’ নিমজ্জিত হয়েছে তার মূল নিহিত রয়েছে প্রধানত সংবিধানেই। সংবিধানের কয়েকটি ধারার সাথে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মিথস্ক্রিয়ার ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকারের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর যে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে তার প্রতিবিধানের জন্য সংবিধানকে ‘সত্যিকার গণতান্ত্রিক সংবিধানে’ রূপান্তরিত করার আবশ্যকতাকে অপরিহার্য করে তুলেছে। দেশের সংবিধানকে যতই গণতান্ত্রিক বলে প্রশংসা করি না কেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কেন্দ্র করে সংবিধানটি রচিত হওয়ায় সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের একচ্ছত্র ক্ষমতাধর করে ফেলা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে যে সুবাতাস বইছে তা অনুন্নয়নের দুষ্টচক্র থেকে দেশকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করার সকল লক্ষণ ধারণ করছে। কিন্তু গণতন্ত্রের সংকট এটিকে তছনছ করে দিতে উদ্যত হয়েছে। বাংলাদেশের অনুন্নয়নে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন জানিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দীর্ঘদিনের গবেষণার মাধ্যমে আমার দৃঢ় প্রতীতী জন্মেছে যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রীভবন গণতন্ত্রের বর্তমান সংকটের জন্য মূলত দায়ী। উন্নয়নের ধারক-বাহক হতে হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচনে জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধিরা যাতে কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সব নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারেন, সে ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই হবে। জনগণের কাছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক জবাবদিহি যাতে নিশ্চিত করা যায় তার ব্যবস্থাকেও প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবিধানের কয়েকটি ত্রুটির কারণে গণতন্ত্রের নামে দেশে যে ‘নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্ব’ কায়েম হয়ে গেছে তা সংশোধনের জন্য সংবিধান সংশোধন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের আওতা সংকুচিত করে শুধু সরকারের বিরুদ্ধে ‘নো কনফিডেন্স মোশনের’ ক্ষেত্রে সরকারি দল বা জোটের সংসদ-সদস্যদের সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার খর্ব করে অন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীন ভোট প্রদানের ক্ষমতা দিতে হবে। সরকারের তিনটি অঙ্গ-সংসদ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রুল অব বিজনেসে প্রধানমন্ত্রীকে ঢালাও ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে একক ক্ষমতাশালী করার জন্য প্রেসিডেন্টকে যেভাবে ক্ষমতাহীন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করে ফেলা হয়েছে তা খুবই লজ্জাজনক। সরকারের এ ভারসাম্যহীনতা সংশোধন না করা হলে ‘নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র’ থেকে জাতির পরিত্রাণ মিলবে না।
বাংলাদেশে ‘রাজনীতিক-সামরিক এস্টাবলিশমেন্ট-সিভিল আমলাতন্ত্র-মুৎসুদ্দী পুঁজিপতিÑ এ চার গোষ্ঠীর ‘গ্র্যান্ড এলায়েন্স’ রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে মন্তব্য করে খ্যাতনামা এ অর্থনীতিবিদ বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা পুঁজি আহরণের লোভনীয় হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তাই ভোটের রাজনীতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে ‘ঘুষ ও ঘুষির’ রাজত্বে পর্যবসিত হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র যে সন্ত্রাসী-মাস্তান-কালো টাকার কাছে জিম্মি হয়ে গেছে তার পেছনে রয়েছে রাজনীতির বৈশ্যকরণ (কমার্শিয়ালাইজেশন) ও দুর্বৃত্তায়ন প্রক্রিয়া প্রধান ভূমিকা পালন করছে। কারণ এদেশের রাষ্ট্র উৎপাদনশীল জনগণের স্বার্থের পাহারাদার না হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী অধিপতি গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্র্যান্ড এলায়েন্সের’ অনার্জিত দুর্নীতিজাত খাজনা আহরণের হাতিয়ারে পরিণত হওয়ার পরিণামে আন্দ্রে গুন্দার ফ্রাঙ্ক কথিত ‘উদ্বৃত্ত আহরণ ও উদ্বৃত্ত আত্মসাতের প্রধান ধারাটির পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা গ্রহণ করেছে। দেশে দুর্নীতি এবং পুঁজি লুণ্ঠন লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। ফলে বৈধ অর্থনীতির সমান্তরালে একটি কালো অর্থনীতি বিস্তার লাভ করেছে। এ কালো অর্থনীতি ইতোমধ্যেই বৈধ অর্থনীতির ৭০-৭৫ শতাংশের মতো আকার ধারণ করেছে। খ্যাতনামা বৃটিশ পত্রিকা দ্য ইকনমিস্ট বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে ‘চৌর্যতন্ত্র’ নামে অভিহিত করেছে। তিনি তার একটি প্রবন্ধে এ শাসনকে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদের ক্লাসিক নজির হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
দেশ থেকে পুঁজি পাচার প্রচ-ভাবে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য, শ্রীলংকা, কেনিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ধনাঢ্য পরিবারগুলো পুঁজি পাচার করছে। প্রধানত ব্যাংকঋণ এবং দুর্নীতিলব্ধ কালো টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আইএলও এ ধরনের পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছিল। কিন্তু নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনেন্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) দাবি করেছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বা ৭২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি এদেশে ক্রমেই সিস্টেমে পরিণত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘুষ ছাড়া কোন সরকারি সেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। এমনকি বিচার ব্যবস্থা, আদালত এবং শিক্ষা ব্যবস্থায়ও দুর্নীতি ক্রমপ্রসারমান। দুঃখজনক হলো, ২৫ বছরের মধ্যে ২৩ বছর ধরে ভোটের রাজনীতি চালু থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির বিস্তার ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ দোর্দ- প্রতাপে এগিয়ে চলেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের সদিচ্ছার অভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ‘নখ-দন্তহীন ব্যাঘ্রে’ পরিণত হয়েছে বলে খোদ দুদকের সাবেক দু’জন চেয়ারম্যান অভিযোগ তুলেছেন। এদেশে সততা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা, সহমর্মিতা ও দেশপ্রেম যেন বোকামি!
এসব নেতিবাচক প্রবণতার বিপরীতে দেশের অর্থনীতির সাম্প্রতিক অর্জনগুলো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থেকে নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশের দারিদ্র্য হ্রাস প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশের এ সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে চলতি মাসে প্রফেসর অমর্ত্য সেনকে নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। বৈদেশিক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দূর হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, চলতি বছরের আগস্টে তা ৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ১৭ লাখ টন খাদ্যশস্যের বিশাল মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর খয়রাত-নির্ভর দেশ নয়। এটা গত সাড়ে তিন দশকে বাণিজ্য-নির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিক পণ্য, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষি-ভিত্তিক খাদ্যপণ্য রফতানি বাজারে ভালোই সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ৮৫ লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশে কাজ করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। তৈরি পোশাক খাত নারীর ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। শিশুমৃত্যু ও ছোট বালক-বালিকাদের মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। অর্থনীতির দ্রুত ডিজিটালাইজেশানের ব্যাপারেও দেশের অগ্রগতি বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অর্থনীতিতে যে সুবাতাস বইছে তা অনুন্নয়নের দুষ্টচক্র থেকে দেশকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করার সকল লক্ষ্য ধারণ করেছে। কিন্তু বর্তমান গণতন্ত্রের সংকট এবং জঙ্গিবাদের তা-ব জাতির সব অর্জনকে তছনছ করে দিতে পারে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি সাংবাদিক আবুল মোমেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

Show all comments
  • RUBEL ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    SETA CHINTA KORAR SOMOY TADER NAI
    Total Reply(0) Reply
  • Roman ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১:০৪ পিএম says : 0
    desh e onek somvabona ase. projon akti valo gonotantrik sorker
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উন্নয়নকে তছনছ করতে পারে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ