পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : লন্ডনের পার্লামেন্টের হামলায় ছেলের জড়িত থাকার খবরে বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছেন খালিদ মাসুদের মা জ্যানেট আজাও। ছেলের এ নৃশংস কর্মকান্ড ও বিশ্বাসকে সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। খালিদ মাসুদের জন্ম কেন্টের ডার্টফোর্ডে। আড্রিয়ান ইলমস নামে বেড়ে ওঠেন খালিদ। পরে সৎ বাবার আজাও পদবিটি ধারণ করেন তিনি। সহিংস অপরাধের অভিযোগে কারাগারে থাকার সময় খালিদ ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তখনই নাম পরিবর্তন করে খালিদ মাসুদ হয়ে ওঠেন তিনি। স¤প্রতি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-এ বসবাস করছিলেন। গত ২২ মার্চ ওয়েস্টমিনস্টার সেতুর ওপর দিয়ে পার্লামেন্টের দিকে আসার পথে সজোরে গাড়ি চালিয়ে তা পথচারীদের ওপর উঠিয়ে দেন খালিদ মাসুদ। সেসময় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। পরে গাড়িটি পার্লামেন্টের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে গিয়ে আঘাত হানে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারী ৮ ইঞ্চি ছুরি নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে এক পুলিশ সদস্যের ওপর ছুরিকাঘাত করেন তিনি। তখন পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করে রুখে দেয়। গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী। ছেলের এধরনের কর্মকান্ডে হতাশ মা জ্যানেট আজাও। ছেলের কর্মকান্ডের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জ্যানেট জানান, এ খবরে তিনি মর্মাহত, মনঃক্ষুণœ ও বিস্মিত। জ্যানেট আজাও আরো বলেন, আমি কোনো ধরনের সংশয় না রেখে একেবারে পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আমি তার কর্মকান্ডকে ক্ষমা করি না। কিংবা যে বিশ্বাস ধারণ করে ও এ নৃশংসতা চালিয়েছে সে বিশ্বাসকেও সমর্থন করি না। আমি আমার বন্ধু, পরিবার ও কমিউনিটির লোকজন আমাদেরকে যে ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়েছে তার জন্য তাদেরকে হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জেহাদি সংগঠন আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হলেও মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-সহকারী কমিশনার নিল বাসু বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, মাসুদের যে জিহাদের প্রতি আকর্ষণ ছিল তা স্পষ্ট। কিন্তু তার সঙ্গে সরাসরি আইএস কিংবা আল কায়েদার সংযোগের প্রমাণ মেলেনি। কিংবা মাসুদ কারো সঙ্গে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করেছেন এমন প্রমাণও নেই। একেবারে নিজে নিজে অন্য হামলাগুলোর কৌশল অনুকরণ করে খালিদ মাসুদ এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।