মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : চেহারা পুরোপুরি পাঠানদের মতো। মাথায় পাগড়ি, গাল ভর্তি দাড়ি, চোখে সুরমা, গলায় পেঁচানো রুমাল, হাতে বালা আর পরনে পাঠান স্যুট। কানে গোঁজা ব্লু টুথ। বিমানবন্দরে ঢোকার সময় তার কাছে বিমানের টিকিট এবং অন্য কানো ছাড়পত্র দেখা যায়নি। এ সময় সিআইএসএফ সদস্যরা পথ আটকালে তিনি হিন্দিতে সরাসরি তাদের বলেন, টার্মিনালের ভিতরে আমার লোক আছে। ঢুকতে না দিলে টার্মিনাল উড়িয়ে দেবো।
গত শনিবার রাত ১১টায় বিমানবন্দরে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেন নিরাপত্তা অফিসাররা। এমন চেহারার লোক, সঙ্গে রয়েছে ট্রলি ব্যাগ, বলছেন টার্মিনাল উড়িয়ে দেবেন। বিমানবন্দরের দোতলায় ডিপারচার এলাকার ৩-এ গেট দিয়ে ঢোকার মুখে তাকে ধরেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ অফিসাররা। ওই ব্যক্তির দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে বন্দুক, বোমা, কার্তুজ কিছুই মেলেনি। ব্যাগটি থেকে মিলেছে ধর্ম সংক্রান্ত কিছু বই ও কাগজ। এ অবস্থায় তার উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিলো, আফরোজ আলম খান নামে ওই যুবকের মানসিক সমস্যা আছে। কিন্তু বুক চিতিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ঢোকার সময় টার্মিনাল উড়িয়ে দেয়ার হুমকিকে হাল্কাভাবে দেখতে রাজি হননি তদন্তকারীরা। রোববার দিনভর জেরার শেষে রাতে আফরোজকে গ্রেফতার করে জামিনে মুক্তি দেয় বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
শনিবার রাতে আফরোজকে ধরার পর তাকে প্রথমে জেরা করেন সিআইএসএফ অফিসাররা। খবর পৌঁেছ যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কানেও। অফিসারদের দাবি, আফরোজ জানান, তিনি ইরাক যাওয়ার বিমান ধরতে এসেছিলেন। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, কেন সে ইরাক যাবে?
আফরোজ নিরাপত্তা অফিসারদের জানান, তিনি সেখানে গিয়ে আইএস-এ যোগ দিতে চান। কলকাতা থেকে সরাসরি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কোনো বিমান যায় না। দুবাই, আবুধাবি বা দোহা হয়ে যেতে হয়। আফরোজের কাছে যদিও কোনো বিমান টিকিটই ছিল না। তাকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে টিকিট কিনে নেবেন। অবশ্য তার সঙ্গে তেমন টাকাও ছিল না।
বিদেশ যেতে হলে পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা বাধ্যতামূলক। আফরোজের কাছে কোনো পাসপোর্টও ছিলো না। পুলিশ জানায়, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি তার মোবাইলে রাখা একটি পাসপোর্ট নম্বর দেখান। তার দাবি, সেটাই তার পাসপোর্ট এবং সেই নম্বর দেখালেই কাজ হয়ে যাবে। শনিবারই রাত ৩টা নাগাদ আফরোজকে বিমানবন্দর থানার হাতে তুলে দেয়া হয়। তার নামে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় আফরোজ নিজের নামের পরে ‘ওরফে বিন লাদেন’ও বলেছেন। মাঝেমধ্যে রেগেও যাচ্ছিলেন। সে সময়ে হাতের সামনে পেপার-ওয়েট, পেন যা পাচ্ছেন ছুড়তে শুরু করছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, আফরোজের বাড়ি গার্ডেনরিচের রামেশ্বরপুর রোডে। জায়গাটি মেটিয়াবুরুজ থানার অধীনে। আফরোজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করার জন্য মেটিয়াবুরুজ থানাকে জানানো হয়েছে। আফরোজের আটক হওয়ার খবর পেয়ে এদিন সকালে বিমানবন্দর থানায় এসেছিলেন তার ভাই জামিল আহমেদ খান। তিনি দাবি করেছেন, আফরোজ মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র তাকে থানায় পেশ করার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলবে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।