পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সম্পন্ন করা নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নির্বিঘেœ ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা যাতে পক্ষপাতিত্ব করতে না পারে সে ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিএসই) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবীর বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হবে নতুন কমিশনের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। এ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের পাস-ফেল নির্ভর করছে। বিকেল ৩টায় রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিএসইর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্য সদস্যরা হলেনÑ বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভুঁইয়া এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।
বৈঠক শেষে রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করে বলেন, কুসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর নেতাদের প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, নির্বাচনে যারা এজেন্ট হবেন তাদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আর প্রতিদ্ব›দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিরা প্রভাব খাটাচ্ছেন। আচরণ বিধিতে সুযোগ না থাকা সত্তে¡ও পোস্টারে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় নেতাদের ছবি ছাপা হচ্ছে। এ সময় রিজভী বলেন, সিইসি পক্ষপাতিত্ব করবেন না বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন সজ্জন ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি। আমরা আশা করি তিনি যে আশ্বাস দিয়েছেন তা পূরণ করবেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে তিন দফা দাবিও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে, মিছিলে বাধা দেয়া হচ্ছে, নতুন কোনো দায়ের করা মামলায় যেন গ্রেফতার করা না হয়। রিজভী বলেন, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা যে আচরণবিধি লঙ্গন করছে তাতে স্থানীয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে বলেছিও আমরা। নতুন সিইসি নিয়ে শুরু থেকেই কঠোর সমালোচনা করলেও প্রথম সাক্ষাতে এ নিয়ে নমনীয় অবস্থানে ছিল বিএনপি। অবশ্য এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব কেউই ছিলেন না। তিনি বলেন, সিইসি একজন সজ্জন ব্যক্তি, চাকরি জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় উপনীত হয়েছেন। এ ধরনের একজন মানুষ কখনোই অবান্তর কথা বলবেন না। কুমিণল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বিএনপি নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।