মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ২৮ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) শরণার্থী সংকট সমাধানে দুই মাসের সময় বেধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে সংকট সমাধানে ব্যর্থ হলে পাসপোর্ট ফ্রি ‘শেনজেন জোন’ ভেঙে পড়বে বলে তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার স্ট্রসবোর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে কথা বলার সময় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। টাস্ক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের হাতে দুই মাস সময় রয়েছে। আমাদের নীতি কাজে আসছে কি না, তা চলতি বছর মার্চ মাসের মধ্যেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে হবে। যদি শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বর্তমান নীতি কোনো কাজেই না আসে তাহলে ‘শেনজেন জোন’ ভেঙে পড়বে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ ইউরোপীয় কাউন্সিলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শরণার্থী ও অভিবাসন সংকটই দু’দিনের এ সম্মেলনের মূল এজেন্ডা। ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইডেনসহ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে ‘শেনজেন’ ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে। চাপ সামলাতে নিজেদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করতে গিয়েই তাদেরকে এ পথে হাঁটতে হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, এ চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে ইইউ সরকারগুলো। গত বছর ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী ইউরোপে গিয়েছে। প্রচন্ড শীতের কারণে বছরের শেষভাগে এ স্রোতে কিছুটা ভাটা দেখা গেছে। গ্রিস জানিয়েছে, গত বছর শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ নতুন শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী দেশটিতে গিয়েছে। এছাড়া উত্তরে সাব-জিরো তাপমাত্রায় সহ¯্রাধিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বলকান পাড়ি দিয়ে জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
অপর খবরে বলা হয়, ডেনমার্কে অভিবাসী প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপে আইন পরিবর্তনের কথা ভাবছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি দেশটিতে প্রবেশ করা অভিবাসীদের খরচ মেটাতে, তাদের সম্পদ জব্দ করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। তবে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ও দেশটিতে প্রবেশ করা অভিবাসীরা। অভিবাসন-বিরোধী বিলটি অনুমোদনে আগামী ২৬ জানুয়ারি পার্লামেন্টের সদস্যরা ভোট দেবেন বলে আশা করছে সরকার। এর ফলে বেশ উদ্বেগেই দিন কাটাচ্ছেন ডেনমার্কে প্রবেশ করা অভিবাসীরা। শরণার্থী কিংবা অভিবাসী প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করতে আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশটিতে প্রবেশ করা অভিবাসীদের খরচ মেটাতে তাদের সম্পদ জব্দ করার কথা ভাবছে ডেনমার্ক। দেশটির পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এতে অভিবাসীদের কাছে ১৪৫০ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যমানের সম্পদ পাওয়া গেলে তা জব্দ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টিকে পুরোপুরি অযৌক্তিক বলছেন দেশটিতে প্রবেশ করা অভিবাসীরা। এক অভিবাসী বলেন, এটা খুবই বাজে সিদ্ধান্ত হবে, অভিবাসী হওয়া মনে এই নয় যে, আমাদের কিছুই থাকতে পারে না। আমরা দেশ থেকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই নিয়ে এসেছি। সরকার আমাদের থেকে এগুলো নিতে পারে না। এমন বিল কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মত দিয়েছেন ডেনমার্কের লিবারেল পার্টির সদস্যরা। এছাড়া, এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাও। ২০১৫ সালে ডেনমার্কে ২১ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছে। চলতি বছর এ সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার। বিবিসি, এএফপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।