বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বাহুবলের ফয়েজাবাদ বধ্যভূমি আজও অযত্ন আর অবহেলায়। মহান মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী বাহুবলের ফয়েজাবাদ বধ্যভূমি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। পাহাড় ঘেঁষা এ বধ্যভূমিতে প্রতিনিয়ত নানা অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।
বধ্যভূমির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেলেও তা সংস্কারের নেই কোনো উদ্যোগ। মাঝে মাঝে চা বাগান কর্তৃপক্ষ এখানে ঝোপঝাঁড় পরিষ্কার করলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে না কেউ। এমনকি জাতীয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানও হয় না এখানে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান জানান, এটি সংস্কারের জন্য তারা অনেক চেষ্টা তদবির করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। সরকারি কোনো উদ্যোগও নেই।
তিনি বলেন, আমরা এটি সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় এখানে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। সেটিও কে বা কারা তুলে নিয়েছে। বধ্যভূমির টিলাটি বাগানের বাইরে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বাগান কর্তৃপক্ষ এ টিলাটি বাগানের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছে। অবিলম্বে এটি রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে এক সময় তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে হবিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
সরেজমিন দেখা যায়, জেলার বাহুবল উপজেলার শেষ প্রান্তে ঢাকা-সিলেট ভায়া মৌলভীবাজার সড়কের আমতলী চা বাগানে ঐতিহাসিক এ বধ্যভূমির অবস্থান। উক্ত সড়কে মিরপুর বাজার থেকে কিছু দূর এগুলেই জ্বালানি তেল শোধনাগার। এর প্রধান ফটকের ঠিক উল্টো পাশেই এ বধ্যভূমি। আমতলী চা বাগানের ৪নং সেকশনের একটি টিলার উপর এটি অবস্থিত। এর চারপাশ টিলায় ঘেরা।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য বাঙালি নারী-পুরুষকে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হায়েনারা। মুক্তিকামী অসংখ্য বীর যোদ্ধাকেও এখানে এনে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন এ স্থানটি চরম অবহেলায় পড়ে ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।