Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলে চিকিৎসকের অবহেলায় স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মৃত্যুর অভিযোগ

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩৭ পিএম

বাউফলে চিকিৎসকের অবহেলায় শফিউল আলম (৫৫) নামের এক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মারা গেছেন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনার পরেও কোন চিকিৎসক তার সেবায় এগিয়ে আসেননি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। স্বজনরা তার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিনে দাশপাড়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক শফিউল আলম তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছেই একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পরলে স্বজনদের সহায়তায় ৯টার দিকে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরেও তিনি কোন চিকিৎসা সুবিধা পাননি। ওই সময় মাসুম নামের ওই স্বাস্থ্য পরিদর্শকের এক স্বজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহার সরকারী বাস ভবনে গিয়ে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ওই রোগীকে দেখার অনুরোধ করলে তিনি সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করেন। এরপর আসাদুজ্জামান সোহাগ নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক মোবাইল ফোনে ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে রোগী দেখার অনুরোধ করলে তিনি ওই সাংবাদিকের সাথে অসোভন আচরণ করেন এবং বলেন‘ জরুরী বিভাগে ডাক্তার আছে তাকে দেখান।’ পরে ওই রোগীর স্বনরা তাকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
মৃত স্বাস্থ্য পরিদর্শক শফিউল আলমের জামাতা আজাদ অভিযোগ করেন,‘ আমার শ্বশুরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরেও তাকে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্ত ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহাকে অনুরোধ করেও তার বাসা থেকে আনা যায়নি। তার অবহেলার কারণেই আমার শ্বশুর মারা গেছেন। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘ আমি ওই সময়ে সেইভ করছিলাম, তাই যেতে পারিনি। তাকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দেখাতে বলেছি।’
অভিযোগ রয়েছে, বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে সহজে কোন চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়না। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকমত অফিসে আসেননা। তিনি অধিকাংশ সময়ই বরিশালে থাকেন। তার স্ত্রী ও সন্তানরা বরিশালে থাকেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২-১ জন চিকিৎসক ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে অফিসে আসেননা। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসকরাও কর্মস্থলে অফিস করেননা। তারা শহরে সরকারী বাসায় থেকে চেম্বার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবহেলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ