পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণেই ইলেকট্রনিক নিষেধাজ্ঞা
ইনকিলাব ডেস্ক : সউদি আরবসহ ১০ মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যগামী বিমানে ল্যাপটপসহ প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এক যোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণেই ইলেকট্রনিক পণ্য বহনে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেলি কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে ভ্রমণ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এবারের ইলেকট্রনিক মুসলিম নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন সরকার কেন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সুনির্দিষ্ট কোনও সন্ত্রাসী হামলার হুমকি বা পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে মিশরে বিমানে হামলা, ২০১৬ সালে সোমালিয়ায় বিমানে হামলার চেষ্টা এবং একই বছরে ব্রাসেলস ও ইস্তামবুলে বিমানবন্দরে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এছাড়াও, সা¤প্রতিক সময়ে বিমানবন্দরগুলোকে নিজেদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে হামলাকারীরা। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের মাধ্যমে বিস্ফোরক পাচারের জন্য বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোকেই বেছে নিতে থাকবে। আর এসব প্রবণতার প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন (টিএসএ) নিরাপত্তা জোরদারের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বিমানবন্দরগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে থাকবে বলে নিশ্চিত হওয়ার মতো তথ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ভবিষ্যতে সন্ত্রাসীদের হুমকি ও পরিকল্পনার ধরনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তালিকায় থাকা বিমানবন্দরগুলোর নামও বদলে যেতে পারে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য জারি করা এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক ওই মন্ত্রণালয়। খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানের কেবিনে স্মার্টফোনের চেয়ে বড় আকারের কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখতে পারবেন না ৮ মুসলিম দেশের যাত্রীরা। হাতব্যাগে ল্যাপটপ, ট্যাব, আইপ্যাড, কিন্ডল, ক্যামেরা, ডিভিডি প্লেয়ারের মতো ডিভাইস বহনও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ ঘোষণা দেয়। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে একই সাথে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় থাকা আট মুসলিম দেশ হচ্ছে সউদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, জর্ডান, কুয়েত ও মরক্কো। এ দেশগুলো থেকে প্রতিদিন যাত্রীবাহী প্রায় ৫০টি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রর উদ্দেশে যাত্রা করে। এ দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করে খ্যাতনামা এমন ১০টি এয়ারলাইনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। এরমধ্যে ইমিরেটস এয়ারলাইন, কাতার এয়ারওয়েজ, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের মতো বিশ্বর খ্যাতনামা বিমান সংস্থাগুলোও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিসর, তিউনিসিয়া ও সউদি আরব। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।