বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও সীতাকুন্ড সংবাদদাতা : ‘তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আর লাশ নেব না।’ সীতাকুন্ডের প্রেমতলা ছায়ানীড়ে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিনে নিহত জঙ্গি কামাল উদ্দিনের পিতা মোজাফফর আহমদ সন্তানের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন, ছেলে যে এতবড় কান্ড ঘটাবে তা আমি কল্পনাও করিনি। সন্তান হলেও তার লাশ আমি নেব না। কামালের শ্বশুর নিহত জোবাইদার বাবা নুরুল আলমও তার মেয়ের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে কামাল উদ্দিন ও জোবাইদার লাশ শনাক্ত করে দুই পরিবার। এ সময় কামালের বাবা মোজাফফর আহমদ ও জোবাইদার বাবা নুরুল আলম সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। মোজাফফর আহমদ বলেন, সীতাকুন্ডের ঘটনার পর পুলিশ যোগাযোগ করেছিল। এলাকার মানুষের মুখেও এরপর শুনেছি। আজ এখানে এসে দেখলাম এ আমারই সন্তান। তার দিকে আমি ফিরেও চাইব না। আমি লাশ নেব না। ৭০ বছর বয়সী মোজাফফর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা জোবাইদার বাবা নুরুল আলম মর্গে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে ভাই জিয়াবুল হক। নুরুল আলম বলেন, আমিও লাশ নেব না। হাসপাতালের মর্গে এলেও মেয়ের লাশ দেখতে যাননি তিনি। ছেলে জিয়াবুল গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন।
জোবাইদার আরেক ভাই জহিরুল হক জসিম ও তার স্ত্রী আর্জিনাকে সীতাকুন্ড পৌর সদরের নামার বাজার এলাকার সাধন কুটির থেকে ১৫ মার্চ বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন পাশের প্রেমতলার জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলিতে চার জঙ্গি নিহত হন। তাদের মধ্যে জোবাইদা ও তার স্বামী কামালও ছিলেন।
জোবাইদার বাবা বলেন, গত সাত-আট মাস ধরে জসিম আলাদা বাসায় থাকত। আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ করতো না। তবে কামাল ও জসিমের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সীতাকুন্ডের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর সেদিন রাতে লাশগুলো উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। পরদিন জসিম ও আর্জিনাকে ১২ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।