বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষী স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মো: রাজুকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ অপহরণ করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ দুই রাউন্ড গুলিসহ সুমন নামের আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাজু জানায়, রোববার বিকেল ৫টায় সে তার এক ভাইকে পদুয়া রাস্তার মাথায় ঢাকাগামী একটি বাসে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা মামুন, সুমন, শুভ, রহমান, সোহাগ, শাহিন ও হান্নানের নেতৃত্বে আরো অনেকে তার গতিরোধ করে গুলি করে। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে পার্শ্ববর্তী ফেনীর শর্শদি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেও তাকে একটি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে অপহরণকারীরা রাজুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে রাইফেলের দুই রাউন্ড গুলিসহ আটক করে।
আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলাল অভিযোগ করে বলেন, আহত রাজু যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী। সাম্প্রতিক সময়ে জামাল হত্যার আসামিরা তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় রাজু বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে উল্লেখিত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার জের ধরে রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অপহৃত রাজুকে উদ্ধার করে। এ সময় সুমন নামে অভিযুক্ত একজনকে দুই রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।