বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম(৩৬) উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবুল হাসেমের পুত্র। শনিবার সকালে সাংবাদিকদের নিকট তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সলসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কড়ইবন এলাকায় মাদকের একটি চালান আসছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে পুলিশের উপর গুলি করতে থাকে। মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল, এএসআই সারোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেন আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা শর্টগানের ১৪ রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত সাদ্দাম হোসেন, দুই’শ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাইপগান, তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করে। পরে সাদ্দাম হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরআগে গত ২৩ মে বুধবার রাতে আমানগন্ডা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে বাবুল মিয়া নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তিনি পৌর এলাকার বৈদ্দেরখীল গ্রামের মরহুম হাফেজ আহমদের পুত্র। বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বিদেশ এবং ভারতে পালিয়ে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।