পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা ঘটনায় পুলিশসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মুফতি হান্নানসহ তিন জনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গতকাল রোরবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রিভিউ খারিজ করে দেন। ফলে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট এর কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি আপিলে বহাল থাকা মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মুফতি হান্নান।
গত ৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মুফতি হান্নানসহ আসামিদের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেন। মামলায় মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর দু’জন হলেন- শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন। এছাড়া হাইকোর্টে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল থাকা দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল আপিল করেননি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন। ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ও দেলোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। প্রায় সাত বছর পর ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। পরে বিচারিক আদালতের দন্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে একই বছর হাইকোর্টে দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।