সড়ক দুর্ঘটনায় জিডিপির ক্ষতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল
‘তোমার বিশ্বাস, চিন্তা, কর্ম, দ্বারাই তোমার বংশের, তোমার ধর্মের ও তোমার নিজের পরিচয় ঘটবে’- সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজীর সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ পুত্র “তূর্যনাদের” অমর কবি’র এই অমর বাণী সাংবাদিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র বড় মানুষ মুহঃ আসফ উদ-দৌলা রেজার জীবনের বাস্তব রূপ লাভ করেছিল। নানা গাজী ইসমাইল হোসেন শিরাজীর বর্ণাঢ্য জীবনের আদর্শ ব্যক্তি জীবনে লালন-পালন-ধারণ করেই সাংবাদিক রেজা তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে ছিলেন। আর এ ব্যাপারে তার স্নেহময়ী দরদী মাতা সৈয়দা ফেরদৌস মহল শিরাজীর ভূমিকা অবিস¥রণীয়।
ছোট্ট বন্ধুরা, আমরা সোনালী আসরের পাতায় অনেক বড় মানুষের কথা পড়েছি এবং জেনেছি। আজ আমরা এক বড় মাপের “সাংবাদিক”-এর কথা জানব। তিনি আর কেউ নন, দেশের বহুল প্রচলিত ও প্রকাশিত সাড়া জাগানো পত্রিকা “দৈনিক ইত্তেফাকের” সাবেক কার্য ও বার্তা সম্পাদক মুহঃ আসফ উদ-দৌলা রেজা। যিনি রেজা ভাই নামে এবং রেডিও বাংলাদেশে “আসফ” ভাই নামে সমধিক পরিচিত। তিনি দেশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আজগর হোসেন সরকার বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের “ধনকণ্ঠি স্টেটের” সর্বশেষ জমিদার ও অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার নানা ছিলেন আরও একধাপ এগিয়ে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত কালজয়ী সিংহ পুরুষ “অনল প্রবাহের” কারা লাঞ্ছিত অমর কবি গাজী ইসমাইল হোসেন শিরাজী। মাতা গাজী শিরাজীর জ্যেষ্ঠ কন্যা মহীয়সী নারী সৈয়দা ফেরদৌস মহল শিরাজী। তার মামা ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাতিক সাধক পীর-এ-আজম হযরত শাহ সূফী মরহুম সৈয়দ আসাদ-উদ্দৌলা শিরাজী। এই ঘরের আদর্শবান মানুষগুলির আদর্শ ধারণ করেই মুহঃ আসফ উদ-দৌলা রেজা ওরফে রেজা ভাই একাধিক গুণাবলীর অধিকারী হয়েছিলেন। তিনি একাধারে নিষ্ঠাবান সাংবাদিক, লেখক, ব্রডকাস্টার, মানবদরদী, দানবীর, সমাজসেবক ও দেশপ্রেমিক। বহুমুখী প্রতিভার ও বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী রেজা ভাই সাংŸাদিকতার দায়িত্ব পালনের সময় দারিদ্র্যকে জীবনের সহচর হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সাহায্য প্রার্থী অজস্র মানুষকে সাহায্য, চাকুরী প্রদান ও রক্ষা করতে তিনি বিন্দুমাত্র পিছু পা হননি। নিজেকে একজন সংগ্রামী, ত্যাগী, পরোপকারী ও আপোষহীন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। যশ-খ্যাতির লোভে এবং কোন কিছু পাবার প্রত্যাশায় কারো পিছনে ছোটাছুটি করেননি। অথবা কারো দয়া ও করুণা ভিক্ষা করেননি। তিনি দেশের রাজধানীতে বসে ইত্তেফাকের মত একটি পত্রিকায় চাকুরী করে জীবনে কোন বাড়ি-গাড়ি তৈরি করেননি। অথচ তার সহযোগিতায় অনেকে আজ কোটিপতি। মৃত্যুকালে তিনি তার বড় ছেলে বর্তমানে ইত্তেফাকে কার্যরত সিনিয়র সাংবাদিক মুহঃ আরিফ উদ-দৌলাকে হাত জরিয়ে ধরে বলেছিলেন, তোমার জন্য কিছুই করতে পারলাম না। মহান স্রষ্টার হাওলায় তোমাদের রেখে গেলাম।
পীরজাদা সৈয়দ শামীম শিরাজী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।