নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এমন উইকেটে হতভম্ব ধোনী!
বিশেষ সংবাদদাতা : টি-২০তে যেখানে ১৭০ স্কোর নিরাপদ নয়, সেখানে পাক-ভারত ম্যাচে দু’দলের রানের সমষ্টি ১৬৮ রান। দুই ইনিংস মিলে বাউন্ডারির সংখ্যা সর্বসাকূল্যে ১৮টি, নেই একটিও ছক্কা! আর ডট বলের সমষ্টি ১২৭টি! এটা কি টি-২০ ম্যাচের চিত্র বহন করে? মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের পীচটা কি তাহলে পার্থ হয়ে গেল? এমন ম্যাচকে তো আর টি-২০’র চেনা বিজ্ঞাপনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। টি-২০’র নাম্বার ওয়ান র্যাংকিংধারী দল ভারতের অধিনায়ক ধোনীও এমন উইকেটে বিস্ময় প্রকাশ করেছেনÑ ‘টি-২০তে মানুষ চার-ছক্কা দেখতে ভালবাসে। কেউ ৮০ থেকে ১০০’র মতো লো স্কোর এখানে দেখতে চাইবে না। ১৩০-১৪০ হলে সেটাকেই বলবে লো স্কোরিং, আর ২০০-২৪০ হলে সেটা গণ্য হবে হাই স্কোরিং ম্যাচে। তবে কন্ডিশনের উপর শ্রদ্ধা রাখতে হচ্ছে। টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অবশ্য আমাদের জন্য ভাল অনুশীলন হচ্ছে। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ওপেনাররা ঠিক মতো মনস্থির করে ব্যাট করবে। তবে এ ধরনের লো স্কোরিং ম্যাচে ভাল কিছু অনুভব করছি না।’
নেহরা, বুমরাহ, পান্ডেÑএই পেস ত্রয়ীর বোলিং পারফরমেন্সে পাকিস্তানকে ৮৩এ অল আউট করাকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মানছেন ভারত অধিনায়কÑ ‘আজ যে উইকেট ছিল, সেই উইকেটে ১২৫ হতে পারতো ভাল স্কোর। তবে বল যেভাবে ঘুরেছে,তাতে ৮৪ রানে পাকিস্তানকে আটকাতে পেরে আমি খুশি।’
মাত্র ৮৪ রান চেজ করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে আমিরের তোপে ২ ওপেনারের বিদায়, স্কোরশিটে ৮ রান উঠতে ভারতের তিন উইকেট ফেলে দেয়ায় পাকিস্তানের ওই বাঁ হাতি পেস বোলারের প্রশংসা করেছেন ধোনীÑ ‘আমির দারুন বল করেছে। এই বাঁ হাতির জন্য লেন্থটা ছিল ক্রুশিয়াল। সুইং ডেলিভারির সঙ্গে যে যেভাবে বল মুভ করিয়েছে, তাতে সব সময়ই এলবিডাব্লুর সুযোগ থাকে। কন্ডিশনকে ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছে আমির। বিশেষ করে তার প্রথম তিন ওভারে।’ আমিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনুসওÑ ‘আমরা যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি। প্রথম ৮ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারালে কার উপর দায় চাপাব? ৩০ থেকে ৪০ রান কম হয়েছে। ৮৪ রানের পর অসাধারণ এক স্পেলে আমির ৩ উইকেট নিয়েছে, আরো কিছু উইকেট পেলে আমি খুশি হতাম। তবে কোহলী এবং যুবরাজ দারুন খেলে আমাদেরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে।’
স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছর ছিলেন নিষিদ্ধ আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিতে তার প্রত্যাবর্তনে রীতিমতো বিস্মিত ওয়াকারÑ ‘এটা তার নিজের অন্যায় ছিল, তার জন্য কেউ কাঁদেনি। অবশ্যই সে বিশ্বমানের বোলার, কোহলী তার সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেছে। সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে শক্তি দেখিয়ে চলেছে। নিজেকে ভাল থেকে আরো ভাল ভাবে উপস্থাপন করছে।’
৮ রানে ৩ উইকেটের পর ভারত যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫ উইকেটে জিতেছে, তার পুরো কৃতিত্ব কোহলীর। তার ৪৯ রানের কার্যকরী ইনিংস এবং যুবরাজের সঙ্গে ৪র্থ জুটিতে ৬৮ রানে ভারত হেসেছে। তবে এমন ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্সে ব্যাটিং জিনিয়াস শচীনের সঙ্গে কোহলীকে তুলনায় আনা পছন্দ হয়নি ওয়াকারেরÑ ‘শচীন এবং কোহলীকে তুলনায় আনা ঠিক হবে না। শচীন যা করেছে, তাতে তার ভাগ্য খুবই ভাল। সে বিশেষ কিছু। শচীন এবং কোহলী ২ যুগের ২ ক্রিকেটার। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে তুলনা করলে শচীনকে সবাই এগিয়ে রাখবে। কোহলী হচ্ছে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।