Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফারাক্কা ও গজলডোবা বাঁধ ভেঙে দাও- বাপা

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইনের ভিত্তিতে গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় আঞ্চলিক পানি ব্যবহার চুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন। একই সঙ্গে ফারাক্কা ও গজলডোবা বাঁধ ভেঙে দেয়ার কথাও জানায় তারা।
গতকাল (সোমবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। বাপার সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল মতিন।
আব্দুল মতিন বলেন, গঙ্গা অববাহিকার মাত্র ৮ শতাংশ বাংলাদেশের, বাকিটা ভারতের। এ জন্য গঙ্গা চুক্তিতে ভারতকে ৯২ শতাংশ পানি দেয়ার কথা বলা হয়নি। আবার তিস্তা নদীর অববাহিকার ১৬ শতাংশ বাংলাদেশে, অথচ সমগ্র তিস্তা অববাহিকার ৫০ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশ অংশে বাস করে। তাই যথাযথ পরিবেশ বিবেচনায়, তিস্তার পানি ব্যবহার প্রশ্নে ন্যূনতম ৩ হাজার ২০০ কিউসেক পানি রেখে বাকিটুকু ৫০ অনুপাত ৫০ ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবহৃত হতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষার বিষয়টি মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে দুই দেশ মিলে সব আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ফারাক্কাসহ সব অবকাঠামো অপসারণ ও আঞ্চলিক পানি ব্যবহার (পানি বণ্টন নয়) চুক্তি সম্পাদন ও তার যৌথ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ  নেবেন। এই বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানটিকে দুই দেশ যত দ্রæত, তত দ্রæতই নদী সঙ্কট কমবে পরিবেশ-কৃষি-অর্থনীতি রক্ষা পাবে এবং দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কও আরো ভালো হবে।
জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য শেখ রোকন বলেন, এ আন্দোলনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে। কেননা, নদীকে সাগরের দিকে যেতে দিতে হবে। অন্যথায় সাগর নদীর দিকে চলে আসবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে যে দাবিগুলো করা হয় সেগুলো হচ্ছে- ফারাক্কা ও গাজলডোবা বাঁধ ভেঙে দিতে হবে, ভারত ও বাংলাদেশ মিলে গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পরিবেশবান্ধব পানি ও অববাহিকা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইন ১৯৭/২০১৪ অনুসমর্থন ও তার ভিত্তিতে আন্তঃনদী পানি ব্যবহার চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফারাক্কা

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ