পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নীরবে চলে গেল ফারাক্কা দিবস। গতকাল ছিল ১৬ মে ফারাক্কা দিবস। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মদিবসের প্রথম দিন হলেও দিবসটি নীরবেই চলে গেল। দিবসটি পালনে কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়েছিল বলে জানা যায়নি। অথচ ভারতের ফারাক্কার বাঁধের বিরুদ্ধে পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়েছে।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালে ১৬ মে ভারতীয় আধিপত্য বাদের বিরুদ্ধে এবং পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ করেন। মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চকে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকসহ সকলেরই সমর্থন ছিল। ভাসানীর ওই লং মার্চের পর থেকে ১৬ মে ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ৪৫ বছর আগে মওলানা ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে যে লং মার্চ করেছিলেন; সেই দাবির প্রয়োজনীয়তা এখনো প্রাসঙ্গিক। এখনো ভারত তিস্তার পানি চুক্তি এক যুগ ধরে ঝুলিয়ে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে পানি চুক্তি করে ফেনি নদীর পানি ত্রিপুরায় নিয়ে যাচ্ছে।
মূলত মওলানা ভাসানী ছিলেন আধিপত্যবাদ বিরোধী গণতন্ত্রের শতাব্দীর মহানায়ক। তিনি কৃষক আন্দোলনের তার রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু। এদেশের গণমানুষের পক্ষে মেহনতী মানুষের পক্ষে আজীবন শাসকের সঙ্গে লড়াই করেছেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে হক ভাসানী নির্বাচনী ইশতেহারে আদিপত্য বাদের বিরুদ্ধে- সিয়াটো চুক্তি বাতিল করার জন্য তৎকালীন পাকিস্তানী সরকারের কাছে দাবি ছিল। ১৯৫৭ সালের ঐতিহাসিক কাগমারি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনদিন ব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিপলন ঘটেনি।
মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালে যখন অসুস্থ হয়ে পিজি হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন; তখনই ভারতীয় ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে তিনি লং মার্চ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে তৎকালীন ভারতে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীকে সুষ্পষ্ট বলেছেন ‘ফারাক্কা বাঁধের কারণে উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার একর জমি পতিত হয়ে যাবে। এ ফারাক্কা বাঁধ বন্ধ না হলে আমি জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’। আমাদের ন্যায্য পানি হিস্যা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদেরকে ন্যায় বিচারের জন্য ভারতে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো তিনি আহবান করেন। ১৯৭৬ সালে ১৬ মে ফারাক্ক বাঁধে কানসাটে আবার জনসভায় ভাসন দেন। তিনি শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সিকিম নয়, ভ‚টান নয়, এদেশ আমার বাংলাদেশ’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।