বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শ্বশুরের সম্পত্তি পাওয়ার লোভে ৮ বছর বয়সী শ্যালককে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতিসহ ২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার আরেক আসামির যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও শহিদুল করিমের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন ও এস এম মুবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১২ সালে এ মামলার রায়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজুর রহমান অলিকে হত্যার দায়ে সাহেব আলী ও মো. মুকুল হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দেয়। আরেক আসামি মো. রাসেলকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
আসামিদের মধ্যে সাহেব আলী শিশু অলির আপন বোনের স্বামী; আর মুকুল হোসেন খালাত বোনের স্বামী। তাদের পরিকল্পনাতেই ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহীর মোহনপুরের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অলিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয় বলে উঠে আসে এ মামলার বিচারে।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অলির ভগ্নীপতি সাহেব আলী বলেন, অপহরণের ঘটনার দিন আসামি রাসেল বাইসাইকেলে করে অলিকে স্কুল থেকে নিয়ে আসে। এরপর তাকে পদ্মার পারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন রাত ২টার দিকে বিদিরপুরে তারা সাহেব আলীর সঙ্গে দেখা করে। পরে বেরাবাড়ির আব্দুল আজিজের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে অলিকে হত্যার পর তার লাশ মাটিচাপা দেয়া হয়।
রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল সাহেব আলী ও মুকুল হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং রাসেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়। আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে শুনানি শেষে রায় দিল হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।