Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১১পদের মধ্যে ৭টিই শূন্য ছাতক প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ৩ মাসে অফিস করেছেন ১ দিন

| প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : ছাতকে প্রাণী সম্পদ অফিসে প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ, চিকিৎসক ও তীব্র জনবল সংকটে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার ৮৫হাজার পরিবার। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাঁস-মোরগ, গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া, কবুতর-কোয়েল খামারসহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর মালিকরা। এরসাথে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ৩ মাসে দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র একদিন। অথচ নিয়মিত তিনি সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ১৩ ইউনিয়নও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ছাতক উপজেলায় ১৮টি রেজিস্টার্ড খামারসহ মোট ৫০/৬০টি গরুর খামার, ছাগলের খামার ৩টি, হাঁেসর খামার ২শ’টি ও মোরগের খামার রয়েছে ৩শ’টি। এ ছাড়া মোট গরু ২ লাখ, মহিষ ৫ হাজার, ছাগল ৬ হাজার, ভেড়া ৩ হাজার, হাঁস ২ লাখ, মোরগ ৩ লাখ, কবুতর ৪ হাজারসহ এ উপজেলায় গৃহপালিত পশু-পাখি রয়েছে মোট ৭ লাখ ১৮ হাজার। এসব গৃহপালিত প্রাণীকে সম্পদে পরিণত করতে সরকার পৃথক প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় গঠন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতি উপজেলায় সাবেক পশু হাসপাতালকে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর নামে নামকরণের মাধ্যমে কৃষকদের গবাদি পশু ও খামরীদের পরামর্শ প্রদান, ওষুধ বিতরণসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। সরকারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে- কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নতজাতের গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী উৎপাদন করা। যাতে- দেশে ডিম, দুধ ও মাংশের চাহিদা বৃদ্ধি করে বিদেশে রফতানী করা যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় উপকরণ, জনবল, ওষুধ ও ডাক্তার সংকটে পিছিয়ে পড়েছে এখানের ডেইরীও পোল্ট্রি খামারীসহ কৃষকরা। এখানে ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। মাত্র ৪ জন দিয়েই হযবরল অবস্থায় চলছে অফিসের কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. ছাইফুল ইসলাম ৪ জানুয়ারি যোগদানের পর থেকে ৩ মাসে অফিস করেছেন একদিন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, মাসের পর মাস অফিসে গিয়েও তাকে পায়নি। ফলে গৃহপালিত প্রাণীর চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি অফিস না করলেও সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন নিয়মিত। গত ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সরকার প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ পালনের ঘোষণার প্রথম দিন আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে আজও অফিস করেন নি। এ ছাড়া ৭টি পদ শূন্য থাকায় একজন ভেটেরিনারি সার্জন দিন-রাত ব্যবস্থাপত্র, চিকিৎসা সেবা, ওষুধসহ মোবাইল ফোনে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ইউএলও ডা. ছাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে ময়মনসিংহে তার পিতা-মাতার কাছেই অবস্থান করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ