নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাহেদ খোকন : যেসময় গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো বাংলাদেশ, ঠিক সেই সময়ই ঢাকায় বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বে লাল-সবুজদের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হলো লঙ্কানরা। এ যেন মধুর প্রতিশোধ। গলে ক্রিকেটে মুশফিকদের বড় হারের প্রতিশোধ ঢাকায় নিলো জিমিবাহিনী। গতকাল সকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বের প্রাক-স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শ্রীলঙ্কাকে। এই জয়ের ফলে লাল-সবুজরা পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলো। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠেছে দুই শক্তিশালী মালয়েশিয়া ও চীন। কাল দুপুরে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে মালয়েশিয়া ৫-০ গোলে হারায় মিসরকে। বিকালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিতে চীন ৫-১ গোলের জয় পায় ওমানের বিপক্ষে। দিনের অন্য প্রাক-স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ঘানা ১১-২ গোলে ফিজিকে হারিয়ে সপ্তমস্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো। আজ সকাল সোয়া নয়টায় সপ্তমস্থানের জন্য শ্রীলঙ্কা ও ফিজি ও সাড়ে ১১টায় পঞ্চমস্থানের জন্য বাংলাদেশ ও ঘানা এবং দুপুর পৌঁনে দু’টায় তৃতীয়স্থানের জন্য লড়বে ওমান ও মিসর। আর বিকাল চারটায় টুর্নামেন্টের ঢাকা পর্বের শিরোপা জিততে লড়বে মালয়েশিয়া ও চীন।
টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বে ওমান ও শেষ আটে মিসরের বিপক্ষে হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো জিমিবাহিনী। কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হকি খেলে বাংলাদেশ। খেলা দেখে মনে হয়েছে অলিভার কার্টজের শিষ্যরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেছে। পুরো টার্ফ জুড়েই খেলেছেন সারোয়ার হোসেন। দুর্দান্ত খেলেন মঈনুল ইসলাম কৌশিকও। অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি মাঝে মধ্যে তীব্র গতিতে প্রতিপক্ষ বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়ায় অনেকটাই ফাটল ধরে শ্রীলঙ্কার রক্ষণদূর্গে। যে কারণে শুরুতেই গোল পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৫০ সেকেন্ডে তখন পেনাল্টি কর্ণার (পিসি) থেকে গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। এসময় জিমির পুশ, সারোয়ারের স্টপের পর চয়নের ড্র্যাগ শ্রীলঙ্কান গোলরক্ষক তুসিত রত্নাসিরিকে কোনও সুযোগ না দিয়ে আছড়ে পড়ে বোর্ডে (১-০)। দশ মিনিট পর জিমির চমৎকার স্টিকওয়ার্কে বল পেয়ে কোনাকুনি হিটে ফ্লিক করে দ্বিতীয় গোলটি করেন মিলন হোসেন (২-০)। জিমি বাহিনীর একের পর এক আক্রমণে প্রায় ভেঙ্গে পড়ে লঙ্কান রক্ষণভাগ। এ সুযোগে গোলের পর গোল পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে চয়ন পিসি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি পান। জিমি-রানার পুশ স্টপের পর চয়ন এবার ড্র্যাগ না করে নিচু হিটে গোল করেন (৩-০)। ৩০ মিনিটে ফিল্ড থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন মিলন (৪-০)। শেষ কোয়ার্টারে বাংলাদেশ আরও পাঁচটি গোল পায়। ৪৬ মিনিটে জিমি বল ঠেলে দিলে গোল করতে ভুল করেননি কৌশিক (৫-০)। এর তিন মিনিট পর আরশাদ দলের ষষ্ঠ (৬-০) গোল করে বড় জয়ের ইঙ্গিত দেন। ৫৬ মিনিটে পঞ্চম পিসি থেকে শুয়ে পড়ে কানেক্ট করে জিমি গোল করলে ৭-০-তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫৮ মিনিটে ফের আরশাদ গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৮-০। ম্যাচের অন্তিম সময়ে (৫৯ মিনিট) মিলন নিজের তৃতীয় ও দলের হয়ে নবম গোলটি আদায় করে নেন (৯-০)। তবে শ্রীলঙ্কাও ম্যাচে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই সুযোগ নষ্ট করে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন। তিনি নিশ্চিত দু’টি গোল ফিরিয়ে দেন। তাই শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই টার্ফ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।