পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সবকিছু বিশ্বাস করলেও তালগাছটা তাদের রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে মিলে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তারাই এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দেবে। দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এ সবকিছুই বোঝে, কিন্তু তালগাছটা তাদের কাছেই রেখে দিতে চায়। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। সভায় দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান মানে না। আমাদের কি দায় পড়েছে বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন করতে হবে? আমাদের কথা পরিষ্কার, বিএনপি সংসদ নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ক্ষমতায় রেখে নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার প্রমুখ। খন্দকার মাহবুব হোসেন অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের করের টাকায় নিজ দলের নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। সংবিধান মতে নির্বাচন করতে হলে বা দলের জন্য কাজ করতে হলে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে কাজ করতে হবে, জনগণের টাকায় নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে বলে অন্য কোনো পন্থায় নির্বাচন করার বিধান নেই। আমার প্রশ্নÑ ১৯৯৬ সালে তখন আওয়ামী লীগ ও জামায়াত মিলে আন্দোলন করেছিল তখন সংবিধান কোথায় ছিল? তিনি বলেন, মানুষের প্রয়োজনে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমি বলে দিতে চাই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দেশের মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। তাই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে কোনো আন্দোলনে তারা নামতে চায়। আর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের ডাক দিলে রাজপথ নিশ্চুপ থাকবে না।
‘বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে’ সম্প্রতি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সামসুজ্জামান দুদু বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে। তিনি যদি বলতেন ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, স্বাধীনতার আহŸান জানিয়েছেন। সেটা বললে বুঝতাম তিনি সঠিক কথা বলেছেন। তিনি সে কথা বলেননি, বিএনপিকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে ২৫ জানুয়ারি একদলীয় যে শাসনব্যবস্থায় গিয়েছিলেন; সে কথা আমি এখন বলতে চাই না। কিন্তু তিনি মার্চ মাসে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা মানে না অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে সংগঠন করতে দেয় না, লিখতে দেয় না, বলতে দেয় না। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সমাবেশ করব, কিন্তু অনুমতি দেয় না। অথচ জাপা, জাসদ অনুমতি পায়। ওবায়দুল কাদের সাহেব এই কথাগুলো স্বীকার করলে তাকে ধন্যবাদ দিতাম। ‘সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে দুদু বলেন, বাংলাদেশে সংবিধানের অধীনে আবার সংবিধানের বাইরেও নির্বাচন হয়েছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ১৯৯১ সালের নির্বাচন কোন সংবিধানের অধীনে হয়েছিল?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।