পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছেই। সর্বশেষ গত জানুয়ারির হিসাবে, প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, যা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রির রেকর্ড। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের সপ্তম মাস জানুয়ারিতে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৪২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। তার আগের মাস ডিসেম্বরে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি বেড়েছে ২ হাজার ২৬৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ৭২ শতাংশ। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) হিসেবে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৪ শতাংশ বেশি। আর বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। অর্থবছরের পাঁচ মাসেই চলতি অর্থবছরের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়ে গেছে। অনেকেই মনে করেন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো দরকার। কেননা, তুলনামূলক স্বল্প সঞ্চয় রয়েছে এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণীসহ সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে এ সুযোগ রাখা হয়েছিল। যাতে তারা নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে এ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রাপ্ত সুদের অর্থে নিজের সংসার চালাতে পারে। বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ ও ৫ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে। ৩ বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদের ১১ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৩ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম সমন্বয় করে মুনাফার হার ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সেই আয়কর কর্তনের বিধানও বহাল রয়েছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম প্রদানের বিদ্যমান সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। মূলত ব্যাংকে সুদের হার কমে যাওয়া, শেয়ারবাজারে এখনো সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর আস্থা তৈরি না হওয়া এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। কেননা সঞ্চয়তপত্র নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।