পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের মসুল শহরের পশ্চিমাঞ্চলের কাছাকাছি ইরাকি বাহিনী ও আইএস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এক দিনেই শহরটি ছেড়ে চলে গেছে ১৪ হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য কর্মীরা সেখানে নারী ও শিশুদের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। গত ১৯ ফেব্রæয়ারি মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার এটাই বড় ধরনের ঘটনা। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এ নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে জাতিসংঘ আইএসের এই শক্ত ঘাঁটি থেকে চলে যাওয়া সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা ৪ হাজার বলে জানিয়েছিল।
খবরে বলা হয়, যৌথ বাহিনীর বিমান অভিযানই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। সেখান থেকে চলে আসা এক নারী জানান, ওখানকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তাই যে যেখানে পারছে সরে পড়ছে। দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ পশ্চিম মসুলের ঘনবসতিপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো যুদ্ধ শুরু হয়নি। এসব স্থানে সংঘর্ষ শুরু হলে আরও বহু লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে। রেডক্রস জানিয়েছে, মসুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা রাসায়নিক অস্ত্রের আঘাতে আহত ৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। গত দু’দিনে এই পাঁচটি শিশু ও দু’জন নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাসায়নিক অস্ত্রে আক্রান্তদের মধ্যে বমি বমি ভাব, কাশি ও কফ এবং চোখ লালবর্ণ হওয়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রেডক্রসের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক রবার্ট মারদিনি জানান, আমাদের সহকর্মীরা যা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা এ অস্ত্র ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই।
খবরে এটা নিশ্চিত করা হয়নি যে, পাঁচ শিশুসহ ওই ৭ জন ঠিক কোথায় রাসায়নিক অস্ত্রে আক্রান্ত হয়েছে। কিভাবে এবং কারা এ অস্ত্র ছুঁড়েছিল তাও জানা যায়নি। ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে দু’ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্দরত আইএস জিহাদিরা মাঝেমধ্যে এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতো। মসুলের পূর্বঞ্চল আইএসমুক্ত করার পর যৌথ বাহিনী পশ্চিম মসুলের দিকে অভিযান শুরু করেছে। ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে আইএস মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।