নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রাম ব্যুরো : এবারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে ১৪টি ম্যাচে যত দর্শক হয়নি, ফাইনালে তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ফাইনালে উঠতে না পারলেও বিদেশি দুই দলের খেলা দেখার জন্য প্রচুর দর্শক সমাগম হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি উপভোগ করে দারুণ আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন চট্টলার দর্শকরা।
২০১৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেবার উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে শুরু করে ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত গ্যালারিতে প্রচুর দর্শকের সমাগম হয়। প্রথমবারের আয়োজনেই এই টুর্নামেন্ট বেশ জমে উঠেছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন ফুটবলের জোয়ার বুঝি ফিরে আসছে। কিন্তু এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরেই উদ্বোধনী ম্যাচ থেকেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। আয়োজকদের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতি থাকায় উদ্বোধনী দিন থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত দর্শকদের তেমন সাড়া মিলেনি। আয়োজকরা মাঠে দর্শকদের উপস্থিত বাড়াতে পুরস্কারের ঘোষণা দেন। এরপরও মাঠে দর্শকখরা চলছিল। এরমধ্যে দেশের কোনো দল না থাকায় ফাইনালে দর্শক থাকবে কিনা তা নিয়ে আয়োজকরা ঘোরতর সংশয়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে দর্শকদের বিপুল সাড়া মিলেছে। গ্যালারিতে যে পরিমাণ দর্শকের উপস্থিত দেখা গেছে, তাতে ফাইনালে টিকিট বিক্রি বাবদ ভালো আয় হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। আসলে ঘটনা ভিন্ন। জানা গেছে, গ্যালারিতে এত দর্শক উপস্থিতির মূল রহস্য হচ্ছে, ফাইনালে বিপুল দর্শক মাঠে টানার জন্য অনেককেই খেলা দেখার পাস কার্ড দেয়া হয়েছে। তারা টিকিট কেটে নয়, পাস কার্ড দিয়েই গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।