প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুমের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এফডিসির ফজলুল হক মিলনায়তনে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। বললেন, আলমগীর কুমকুম কীভাবে তাকে চলচ্চিত্রে এনেছিলেন। নায়ক বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কুমকুম ভাই আমাকে নায়ক বানিয়েছেন। তিনি আমাকে চলচ্চিত্রে এনেছিলেন। কেন এনেছিলেন, আমার মধ্যে কি এমন পেয়েছিলেন, সেটা আমি আজও জানি না। তবে এতটুকুই জানি তার জন্যই আমি আজ নায়ক আলমগীর। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, একবার ফার্মগেটের একটি স্টুডিওতে আলমগীর কুমকুম আমার ছবি দেখে অফার করলেন ফিল্মে কাজ করার। আমি তখন উনার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে চলে যাই। কিছুদিন পর আমাদের তেজগাঁওর বাড়িটি উনি ভাড়া নিতে এসেছিলেন। জানতে পারি বাড়িটি ফিল্মের অফিস হবে। আমরা উনাকে বাড়ি ভাড়া দেইনি। তারপর উনি যাওয়ার সময় আমি ছবি করবো কিনা আবার জিজ্ঞেস করেছিলেন। যদি ছবিতে কাজ করি তবে যেন এক সপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ করি। তার এ কথা শুনে বড় বোন আর দুলাভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করি। তারা বলেছিলেন, ওকে, কাজ করো। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের ছবি; ইতিহাস হয়ে থাকবে! তবে এই একটা ছবিতেই কাজ করো। তারপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সঙ্গে দেখা হলো, আরও দুচারজন ছিলেন। তারা জানিয়েছিলেন, আমার কথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক টান আছে। শুদ্ধ করে কথা বলা শিখতে হবে। আমাকে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদায় অভিশাপ পড়তে। আমি পুরোটা না পড়লেও অল্প কিছুদিনে তিন-চারপাতা মুখস্ত করে আবার দেখা করি তার সাথে। তারপর উনি হেসে বলেছিলেন- আমাকে দিয়েই হবে! আমি কাজ করলাম ‘আমার জন্মভ‚মি’ ছবিতে। আলমগীর বলেন, কুমকুম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা না হলে আমি হয়তো আলু-পটলের ব্যবসায়ী হতাম, ফিল্মে আসা হতো না। আমি প্রকৃত মানুষ হওয়ার রাস্তা পেয়েছি তার নির্দেশনা পেয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।