নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ : ১৩৩/৮ (২০.০ ওভারে)
সংযুক্ত আরব আমিরাত : ৮২/১০ (১৭.৪ ওভারে)
ফল : বাংলাদেশ ৫১ রানে জয়ী।
শামীম চৌধুরী : দলের প্রধান কোচ আকিব জাভেদের পরিচয় একজন সাবেক ফাস্ট বোলার। এমন একজন কোচ থাকবেন যে দলে, তাদের বোলাররা ছড়াবে আতঙ্ক, এটাই স্বাভাবিক। তবে টি-২০ তো শুধু বোলারদেরই ম্যাচ নয়, ব্যাটিংটাই আসল। সেখানেই যে আইসিসি’র সহযোগী সদস্য দেশটি অনেক পিছিয়ে, শ্রীলংকার পর গতকাল বাংলাদেশও সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আপসেট কামনা করা দলটির বিপক্ষে সতর্ক ব্যাটিংয়েই ১৩৩ রানের পুঁজি নিয়ে ৫১ রানে জিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্যবধান বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৫১ রানে জয়Ñ টুর্নামেন্টে দারুনভাবে ফিরলো বাংলাদেশ।
১২৯ স্কোর করে যাদের বিপক্ষে ১৪ রানে জিততে পারে শ্রীলংকা, দলে সময়ের সেরা ৪ পেস বোলার থাকতে সেই সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ভয় পাবার কিইবা আছে? গতকাল আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩/৮ স্কোরকেই তাই নিরাপদ মনে হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে সেকেন্ড সিøপে রোহান মোস্তফার ক্যাচ ফেলে দেয়া কিংবা পাকিস্তানী টিভি আম্পায়ার পরিস্কার রিটার্ন ক্যাচ থেকে মুস্তাফিজকে বঞ্চিত করার পরও বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশিত জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। দ্বিতীয় স্পেলে মুস্তাফিজুরের উপর্যুপরি ২টি অফ কাটারে (২/২) শাহজাদ এবং পাতিলের ফিরে যাওয়ার পর অফ স্পিনার মাহামুদুল্লাহ’র বড় ধাক্কায় (২/৫) বেসামাল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে শিক্ষা দিতে পেরেছে মাশরাফিরা।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’কে কাজে লাগানোই ছিল বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সফল ২ ওপেনার। তবে প্রথম ৬ ওভারে ওভারপ্রতি ৮ রান করে নেয়ায় স্কোরটা যতোটা স্ফীত হওয়ার কথা, তা কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। ৬ থেকে ১৫, এই ১০ ওভারে যোগ করেছে বাংলাদেশ মাত্র ৪৬ রান। ৬ষ্ঠ ওভারে শাহাজাদকে সৌম্য’র মিড অনে ক্যাচ (২১) থেকে শুরু বিচ্ছিরি ব্যাটিং। ১০ম ওভারে অফ স্পিনার রোহান মোস্তফাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে মিড উইকেটে সাব্বিরের ক্যাচ (৬)। দারুন খেলতে খেলতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও নিজের ভুলে ৪৭ এ কাঁটা পড়েছেন মিঠুন। সেই রোহান মোস্তফাকে পরের ওভারে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ডিফেন্স করেও বাঁচতে পারেননি, রানের জন্য ছটফট করতে থাকা মিঠুনের ডিফেন্সটি যে উইকেট কিপারের হাতে, তা টেরই পাননি মিঠুন। ৪১ বলে ২ ছক্কা ৪ বাউন্ডারিতে ক্লাসিক ৪৭ রানের ইনিংসটির মৃত্যু হয়েছে ওই ছটফটানিতেই। ব্যাটিং অর্ডারে ৪ নম্বরে উঠিয়ে এনেও মুশফিকুর প্রয়োজন মেটাতে পারেননি, পয়েন্টে খেলতে যেয়ে কট বিহাইন্ড তিনি (৪)। সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না সাকিবের, আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে (১৩) অফ ফর্মের কথাই জানিয়ে দিয়েছেন এই অল রাউন্ডার। এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরে আসা সোহানও দিতে পারেননি প্রতিদান (০)।
তবে এই ম্যাচে মিঠুনের দারুন শুরুতে উদ্বুদ্ধ মাহামুদুল্লাহ শেষটা করেছেন দারুন। রানের জন্য ধুঁকতে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য শিক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মাহামুদুল্লাহ। শেষ ৫ ওভারে ৩৯ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল মূলতঃ মাহামুদুল্লাহ’র কারণেই। তার ২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি টি-২০’র জন্য যথার্থ মনে না করার কোন কারণই নেই। ইনিংসের শেষ ওভারে বাংলাদেশ দল যোগ করতে পেরেছে ১৬ রান, একটি বলও ডট হয়নি, মাহামুদুল্লাহ ছিলেন বলেই। মিড উইকেটে তার ছক্কাটিও ছিল দেখার মতো।
বোলিংয়ে খালি হাতে এদিন ফেরেনি বাংলাদেশের কেউ। মুস্তাফিজ, মাশরাফি, তাসকিন, মাহামুদুল্লাহ’র শিকার ২টি করে। সবচেয়ে কম খরচা মাহামুদুল্লাহ’র (২/৫)। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আল আমিন এবং সাকিব। সাকিবের খরচা সেখানে ওভারপ্রতি ৫.৭১। ৮২ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয়া দলে সবচেয়ে বেশি (৩০ রান) স্কোর করেছেন উসমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।