Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমবে খরচ দীর্ঘদিনের দুঃখ ঘুচবে কৃষকের

ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর খনন কাজ শুরু

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. হেলাল উদ্দিন, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) থেকে : নরসুন্দা শুকিয়ে যাচ্ছে, বন্ধ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ছে মানুষের দুর্যোগ শিরোনামে ০৬-০৩-২০১০ইং তারিখে দৈনিক ইনকিলাবের অভ্যন্তরীণ পাতায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীর্ঘদিন পরে হলেও নিকলীর বিভিন্ন নদী খননের উপর দৃষ্টি দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নিকলীর নরসুন্দা নদী ভরাট ও শুকিয়ে যাওয়া মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ বাড়ছে দিন দিন। সুনামগঞ্জ, আশুগঞ্জ, ভৈরব, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ইটনা, মিঠামইন থেকে আসা নৌপথে যাত্রীবাহী ট্রলার, মালামাল ও ভিবিন্ন পণ্যবাহী নৌকা নদীতে আটকে যাচ্ছে। নদীর জোয়ারের সময় পানি থাকলেও ভাটার সময় কোথাও কোথাও প্রায় শুকিয়ে যায়। প্রতিদিন জালালপুর, মজলিশপুর, সিংপুর ও দামপাড়া নদীঘাট হতে উপজেলা সদরে যাত্রীবাহী নৌকা এবং ট্রলারগুলো অনেক সময় টেনে-হিঁচড়ে নিতে দেখা যায়। সংবাদের শেষ অংশে বলা হয়েছিল, আপামর জনসাধারণের প্রাণের দাবি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওর অঞ্চলের জনমানুষের কল্যাণে, নিকলীর নরসুন্দা নদীটি পুড্ডা ব্রিজ থেকে গুরুছড়া, মজলিশপুর, নানশ্রী হয়ে বারুখ বাজার পর্যন্ত পূর্ণ খনন করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে দেবেন। নরসুন্দা শাখা নদী বানিয়াজানের প্রায় ৭ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী খননের কাজ দেখে আনন্দিত এ অঞ্চলের কৃষক কৃষাণিরা। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। দীর্ঘদিন পর তাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর বানিয়াজান নদীতে বোরো ধানের আবাধ করা হতো। নদীটি খননের ফলে নিকলী, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি উপজেলার কৃষকেরা এ নদীর পানি দিয়ে কম খরচে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে পারবে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বোরো ধানের কৃষিজমি। এতে হ্রাস পাবে কৃষকের সেচ খরচ। এছাড়াও শ্যালো মেশিনে বোরো জমিতে সেচের পানির আয়রন পড়ে জমির যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল, তা থেকে মুক্তি পাবে আমাদের আবাদি জমিগুলো। নলকূপের পানি দিয়ে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হতো নদী খননের ফলে তার চেয়ে অধিক হারে বেশি ফসল উৎপাদন হবে। কমে আসবে কৃষকের ফসল ফলানোর খরচের হার। বৃদ্ধি পাবে দেশী মাছের প্রজনন বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের হার সমৃদ্ধিশালী হবে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতি। কমবে হতদরিদ্র মানষের সংখ্যা। ঘুচবে বেখারত্বের অভিশাপ লোকজন পাবে কর্মসংস্থান। এ বিষয়ে উপবিভাগীয় প্রকোশলী মো. আক্তারুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বানিয়াজান নদীটি প্রায় ৭ কিলোমিটার খনন করা হবে নদীর গভীরতা হবে সাড়ে তিন ফুট থেকে সাড়ে চার ফুট, নদীর উপরের অংশে প্রস্ততা হবে ৩২ ফিট, এবং নদীর তলায় ২৭ ফিট। এছাড়াও নিকলী উপজেলার গুরুই, জারইতলা, দামপাড়া, মজলিশপুর, কুর্শার নদীগুলোর খননকাজ শুরু করা হয়েছে। নদী খননের কাজ পরির্দশন করতে গেলে কৃষকেরা এ প্রতিনিধিকে জানান, তাদের আবাদি ফসলি জমি নদী খননের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। সরকারের উচ্চ মহলের কাছে তাদের দাবি আবাদি বোরো ধানের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, কৃষকের মাঝে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষকের


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ