Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তান নিয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা করছে চীন এবং ভারত

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তান নিয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা করছে চীন এবং ভারত। দেশ দুটির মধ্যে বিরাজমান মত পার্থক্য ভুলে এ চেষ্টা চলছে বলে গত মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে। পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠী বা এনএসজি’তে ভারতের সদস্য পদ লাভ, জাতিসংঘে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণার চেষ্টা এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নিয়ে বেইজিং এবং নয়াদিল্লির মধ্যে প্রবল মতপার্থক্য রয়েছে। এসব মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে আফগানিস্তানের বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান নেয়ার বিষয়ে চীন এবং ভারত চিন্তা করছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের বেইজিং সফরের সময়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমন কি উপমহাদেশের অন্যান্য অংশ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা থাকা সত্তে¡ও আফগানিস্তানে বেইজিং-দিল্লির অভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাবনা নিয়ে দেশ দুটির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। বেইজিং সফরকালে চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার জাং ইয়েসুইের সঙ্গে জয়শংকরের বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ পুনরায় শুরু হয়েছে বলেও ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এ বৈঠকে উভয়ে চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। বিশ্ব যখন নতুন করে উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করছে তখন এ তৎপরতা চলছে বলে ভারতের পদস্থ কর্মকর্তারা জানান।
প্রসঙ্গত এর আগে, রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান আফগানিস্তানের সংকট নিয়ে আলোচনায় নিয়োজিত ত্রিদেশীয় জোটের পরিধি বাড়াতে এবং এতে আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে। আঞ্চলিক বৈঠকে অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কাবুলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ডিসেম্বরে মস্কোয় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিন দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দেয়া যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়ে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এর পরিধি বাড়াতে এবং আফগানিস্তানের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় দফা বৈঠকে করল দেশ তিনটি। আফগানিস্তানের ক্রমঅবনতিশীল পরিস্থিতি বিশেষ করে দেশটিতে তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দায়েশের অভ্যুদয়ের বিষয়ে দেশ তিনটি আলোচনা করেছে। অবশ্য, এর আগের ত্রিদেশীয় দুটি বৈঠকের কথা প্রকাশ্য ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু তৃতীয় বৈঠকের কথা প্রকাশ্য ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ তিনটির মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রমাণ দিচ্ছে। আফগানিস্তানে দায়েশের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে এ সহযোগিতার অবকাশ তৈরি হয়েছে। অবশ্য, তৃতীয় বৈঠকের ঘোষণা দেয়ার পর কাবুল প্রকাশ্যেই বিরক্ত প্রকাশ করেছিল। আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া ত্রিদেশীয় প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কাবুল। পার্সটুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ