বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : রোগ মুক্তির পর রোগীর মনে যে প্রশান্তির ছায়া পড়ে সেই চিত্রই ফুটে উঠল বিনামূল্যে প্রোস্টেট অপারেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে। বিনামূল্যে রোগ থেকে মুক্তির কথা জানাতে গিয়ে অনেকের চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। অনেকেই আবেগে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন। শুধু ঢাকার রোগীই নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন প্রস্রাবজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন বয়স্ক পুরুষ রোগীরা। একমাস ধরে বিনামূল্যে এসব রোগীর অপারেশন থেকে শুরু করে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে ঢাকার আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। গত মঙ্গলবার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়ামে আয়োজন করা হয় এই সমাপনী অনুষ্ঠানের। এতে রোগীরাই জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। বক্তব্য রাখেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং ইউরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আফিকুর রহমান, এডভাইজার (অধ্যক্ষ) এবং সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. এ. আশরাফ আলী, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এম. এন. নাগ, পরিচালক-রেগুলেটরি এ্যাফেয়ার্স ডা. আনোয়ার হোসেন মুন্সী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে সেবা নিতে আসা রোগী মোহাম্মদ আলী জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে তার প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। নারায়ণগঞ্জে প্রাথমিক সেবা নেয়ার পর তাকে জানানো হয় অপারেশন করতে হবে। যার খরচ ৫০ হাজার টাকা। খরচের কথা চিন্তা করে বিমর্ষ হয়ে পড়েন তিনি। আবেগ আপ্লুত মোহাম্মদ আলী বলেন, সেই সময়ে আমার পকেটে ৫০ টাকাও ছিল না। পরবর্তীতে পত্রিকার মাধ্যমে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের মাসব্যাপী এই কার্যক্রমের খবর জানতে পেরে ছুটে আসি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করে এবং এই রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের সেবায় আমি খুব খুশি। আদ্-দ্বীন হাসপাতালকে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরা এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন।
রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারার এই সমাপনী দিনকে নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন উল্লেখ করেন এই উদ্যোগের সফল রূপকার প্রফেসর ডা. মো. আফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর চিকিৎসক হয়ে ওঠার পেছনে বাবার গল্প। পরবর্তীতে তাঁর পিতা প্রস্রাবজনিত সমস্যা রোগে ভুগেন। তখন তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নী করছিলেন। পিতার সেই কষ্টের স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত করে। বাবার উপদেশেই তিনি পরবর্তীতে ইউরোলজি নিয়ে পড়াশুনা করেন। হয়ে ওঠেন একজন প্রখ্যাত ইউরোলজিস্ট। পিতার সেই প্রোস্টেট জনিত কষ্ট অনুভব করেন বলেই রোগীরা সবাই তার পিতৃতুল্য। সেবা প্রদানকে দেখেন কর্তব্য হিসেবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাসব্যাপী এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে ৪০০ জনের বেশি রোগী সেবা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে অধ্যাপক ডা. আফিকুর রহমান নিজের তত্ত্ববধানে ৭৫ জন রোগীর অপারেশন করেন। আরো ৫ জন রোগীর অপারেশন করানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।