পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার দুই রাষ্ট্র-ভিত্তিক সমাধান করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৪তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। ফিলিস্তিন আজ দৃশ্যমান সত্য, একটি বাস্তবতা উল্লেখ করে আব্বাস সদস্য রাষ্ট্রের উদ্দেশে বলেন, চলতি মাসের শুরুতে নতুন আইন পাসের মাধ্যমে ইসরাইল একটি বর্ণবাদী সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভ‚মির উপর কেবল ইহুদিদের জন্য কয়েক ডজন বসতি নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, তিনি মার্কিন দূতাবাস ইসরাইল থেকে জেরুজালেমে সরানোর বিরুদ্ধেও কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার হুমকি দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, এই কাউন্সিলের জন্য ফিলিস্তিন ইস্যুটি একটি লিটমাস টেস্ট হিসেবে থাকবে এবং এটি সফল হোক বা না হোক, তা বিশ্বের সর্বত্র মানবাধিকার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। এই বছরের অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সেগমেন্টে বক্তব্য দেয়ার জন্য ১০০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আব্বাস প্রথম বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন আজ একটি দৃশ্যমান সত্য এবং একটি কঠিন বাস্তবতা। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের ১৩৮টি সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অন্যদের মতো তার পতাকাও জাতিসংঘে উড়ছে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি; যা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করবে এবং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী তার রাজধানী হবে জেরুজালেম। এর আগে প্রথম ও শেষবারের মতো ২০১৫ সালে আব্বাস এই কাউন্সিলে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন। জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব হিসেবে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৪তম অধিবেশনে আন্তোনিও গুতেরেসও প্রথমবারের মতো বক্তব্য রাখেন। তিন দিনের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনের পর কাউন্সিল মৃত্যুদন্ড, জাতিগত বিদ্বেষ এবং উস্কানির মতো বিষয় উপরের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ১৯৬৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা দখল করেছে এবং তখন থেকেই অধিকৃত অঞ্চল জুড়ে হাজার হাজার ইহুদি জনবসতি নির্মাণ করে আসছে। ইসরাইলি অধিকার গ্রুপ ‘বি’সেলেমে’র তথ্যনুযায়ী, পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীর ড়–ড়ে দেড় মিলিয়নেরও বেশি ইসরাইলি বাস করছে এবং তাদের সবাই ইহুদি। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।