পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৬ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (আজিয়াটা বা গ্রুপ)। তাদের রাজস্ব ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ২ হাজার কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ছাড়িয়ে গেছে। নিরীক্ষা অনুযায়ী পুরো বছরের ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও পরিচালন মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) ডাবল ডিজিট হয়েছে।
গতকাল (রোববার) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসেল অধিগ্রহণের লক্ষ্যে মার্কিন ডলারের হিসাবে ঋণ নেয়ায় ফরেক্স লোকসান, আইডিয়া থেকে প্রত্যাশিত আয় না পাওয়া, রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণ ও এনসেল অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত ব্যয়, অবচয় ও ঋণ পরিশোধ-বাবদ উচ্চ ব্যয়ের পাশাপাশি ফোরজি প্রযুক্তি চালুর জন্য অবচয় বাড়তে থাকা, স্টার্ট-আপ বিনিয়োগে ক্ষতি এবং কয়েকটি আজিয়াটা কোম্পানির ব্যবসায়িক পরিস্থিতির কারণে কর পরবর্তী মুনাফায় (পিএটি) নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ২০১৬ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মূলত আজিয়াটার বেশিরভাগ কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ইতিবাচক ব্যবসায়িক পরিস্থিতির ফলে রাজস্ব ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ১৬০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে দাঁড়িয়েছে। যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ১ হাজার ৯৯০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
উচ্চ রাজস্বের কারণে একই সময়ে গ্রæপটির পরিচালন মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮শ’ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে পৌঁছেছে এবং মার্জিন শূন্য দশমিক ৬ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭ দশমিক ২ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট হয়েছে।
আজিয়াটা’র প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তান শ্রি জামালুদিন ইব্রাহিম বলেন, “কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের কারণে ২০১৬ সালটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জের। সর্বোচ্চ রাজস্ব অর্জন ও পরিচালন মুনাফায় (ইবিআইটিডিএ) শক্তিশালী অবস্থান সত্তে¡ও এ অর্থবছরে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জিত হয়নি। আজিয়াটার কয়েকটি কোম্পানির ফলাফলে স্বভাবতই আমরা অসন্তুষ্ট হলেও বেশ কয়েকটি কোম্পানি খুব ভাল করেছে।” তিনি আরো বলেন, “মার্কিন ডলারের বিপরীতে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের মান কমে যাওয়ায় গ্রæপের মুনাফা কমেছে। এনসেল অধিগ্রহণের লক্ষ্যে মার্কিন ডলারের হিসাবে ঋণ নেয়ায় ফরেক্স লোকসানের কারণে এমনটি হয়েছে। এছাড়া ভারতে আগ্রাসী প্রতিযোগিতার কারণে কম মুনাফা অর্জন, যেখানে সাধারণত ভাল ফলাফল পাওয়া যায়; কৌশলগত বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ও নেপালে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের ফলে একাকলীন ও অন্যান্য ব্যয়; ইন্টারনেট খাতে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে থাকার লক্ষ্যে ক্রমাগত মূলধনী বিনিয়োগের ফলে অবচয় ও ঋণ পরিশোধে অধিক অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান অবচয় এবং ডিজিটাল বা ইন্টারনেট খাতে প্রাথমিক বিনিয়োগের কারণেও গ্রæপের মুনাফা কমেছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।