Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এবার ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ হচ্ছে না

হোয়াইট হাউসে ঢুকতে না দেয়ায় মিডিয়া গ্রুপের নিন্দা, সাংবাদিক মহল ক্ষুব্ধ

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এ বছর হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতাদের সঙ্গে নৈশভোজ করবেন না মার্কিন  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার এক টুইটে তিনি এমন বার্তা দিয়েছেন। ওই টুইটে ট্রাম্প বলেন, এ বছর আমি হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেব না। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং নৈশভোজ আনন্দে কাটুক এমন প্রত্যাশা জানান। প্রতিবছর বসন্তে হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতাদের এই নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকেই সাংবাদিকতার বৃত্তির তহবিল জোগান দেয়া হয়। সাধারণত এই ভোজে প্রেসিডেন্ট, সাংবাদিক, তারকা ও ওয়াশিংটনের অভ্যন্তরীণ সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। গণমাধ্যমের প্রতি ট্রাম্পের বিরূপ আচরণের প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা আগামী ২৯ এপ্রিলের ওই নৈশভোজ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প এমন ঘোষণা দিলেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসিসহ কয়েকটি প্রধান সংবাদ সংস্থাকে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বাধা দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে মেডিয়া গ্রুপগুলো। বাধার মুখে পড়া নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, এটি স্পষ্টতই গণতান্ত্রিক আদর্শের অপমান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গণমাধ্যমকে আরেকবার আক্রমণ করে কথা বলার পর সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে ঢুকতে এ বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটল। বিবিসি হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে বিষয়টির পরিষ্কার ব্যখ্যা চেয়েছে। অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম নিয়ে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্যের উদাহরণ টেনে হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যাসন সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর নয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের শত্রু বলেছেন। ম্যাসন আরও বলেন, নৈশভোজে অংশ নেবেন কি না, তা ট্রাম্পের ব্যাপার। কিন্তু হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবে। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে তারা সত্য খবরই জানাবে। এর আগেও সাংবাদিকেরা তাই করেছেন। ওদিকে, ওয়াশিংটনে বিবিসির ব্যুরো চীফ বলেছেন, আমরা জানি কোনো কোনো সময় কোনও কারণে যেমন, স্থানসংকুলান কিংবা পরিস্থিতিগত কারণবশত হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়। কিন্তু এবার যা করা হল সেক্ষেত্রে এমন ধরনের কিছু ঘটেনি। তারপরও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সুু এবং পক্ষপাতহীন থাকবে বলে জানান তিনি। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের ওই সংবাদ সম্মেলনে রীতিমতো তুলোধুনা করা হয় আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদকদের। সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস ও বাজফিডের প্রতিবেদকদের সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার বা ভিডিও করারও অনুমতি পাননি সংবাদকর্মীরা। হোয়াইট হাউসের পদক্ষেপ বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ওদিকে, এক সম্পাদকীয় লা টাইমস বলেছে, উদ্দেশ্য যদি হয় সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে প্রশাসন যা পছন্দ করে না তা নিয়ে বেশি লেখালেখি না করানো, আর যা পছন্দ করে তা নিয়ে বেশি বেশি লেখানো, তাহলে তা ধোপে টিকবে না। ঠিক কী কারণে হোয়াইট হাউস সাংবাদিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করেছে প্রেস সেক্রেটারি তা খোলাসা না করায় সাংবাদিকরা আরও বেশি চটেছেন। তবে রয়টার্স, ব্লুমবার্গ ও সিবিএসের মতো আরও ১০টি প্রতিান ওইদিন বিনা-বাধায় সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছে।  এপি, এএফপি, বিবিসি, ওয়েবসাইট।     



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ