Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের বয়স জালকারীদের বিচার চাইল ইউনিসেফ

প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে করার লক্ষ্যে যে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহŸান জানিয়েছে ইউনিসেফ। এ ছাড়া যারা বাল্যবিবাহ সংঘটনের জন্য বয়সের জাল কাগজ তৈরি করে তাদের বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘের সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ আয়োজিত শিশু অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি বাংলাদেশের ৫ম সিআরসি পিরিয়ডিক রিপোর্ট বিষয়ক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ আহŸান জানায় সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছে, যাতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই সংজ্ঞাটিকে মেনে নিয়েছে যে, ১৮ বছরের কম বয়সের সবাই শিশু। ওই আইনের ফলে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, পারিবারিক নির্যাতন আইন, মাতৃদুগ্ধের বিকল্প বিপণন বিষয়ক আইন এবং মানবপাচার নিরোধ আইন গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডওয়ার্ট বেগবেদার বলেন, বিগত ২৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বাংলাদেশকে অধিকার সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সকল প্রকার শিশু সংশ্লিষ্ট আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। আধুনিক এই যুগে পরিবর্তনশীল বিশ্বের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে শিশুদের উন্নয়নে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। শিশুদের উপর বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, শিশু সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে সবাইকে জানানো এবং এর বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত মানবসম্পদ, কারিগরি এবং বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে শিশু সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কার্যকর আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা, যারা বাল্যবিবাহ ঘটানোর জন্য বয়সের জাল কাগজ তৈরি করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ ছাড়া বাল্যবিয়ের শারীরিক, মানসিক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কুপ্রভাব সম্পর্কে সবাইকে সচেতনতা ও শিশুদের জন্য একজন করে ন্যায়পাল নিয়োগ এবং শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে দেশে ২ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৮০ লাখ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ের। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে পরিমাণ উপবৃত্তি প্রদান করা হয় সেটা একবারেই কম নয়। আমি বলছি না এটা পর্যাপ্ত, উপবৃত্তির পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব বিকাশ দাস প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিয়ের বয়স জালকারীদের বিচার চাইল ইউনিসেফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ