নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হার নিয়ে চলছে কাঁটা-ছেড়া। ময়না তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত সাকিবের ক্যাচ ড্রপ, বাজে ফিল্ডিং। উঠে এসেছে ‘শিশির’ ফ্যাক্টর। নুতন কেনা সফটওয়ার প্রযুক্তিতে চলছে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রথম ম্যাচে হারের পরও টুর্নামেন্টে সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। দারুনভাবে টুর্নামেন্টে ফিরতে সংকল্পবদ্ধ ক্রিকেটাররা। শুক্রবারে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত আইসিসি’র সহযোগী সদস্য। বড় আসরে খেলার অভিজ্ঞতা কালে-ভদ্রে পায় যে দলটি, মধ্যপ্রাচ্যের এই দলটির বিপক্ষে ম্যাচটিকে তাই একটু বেশি গুরত্বই দিতে হচ্ছে মাশরাফিকেÑ ‘এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে খেলতে আসিনি। সত্যি কথা বলতে কি প্রথম ম্যাচ নিয়ে আমরা সবাই রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমাদের ইচ্ছে ছিলো সবকিছুই জেতার। তার সম্ভাবনাও ছিলো! প্রথম ম্যাচে আমরা পারিনি, তা ঠিক। তবে সামনে আরও তিনটি ম্যাচ আছে। অবশ্যই একটি একটি ম্যাচ করে চিন্তা করতে হবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের হাত থেকে চলে গেছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে পরবর্তী ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে আমাদের প্রস্তুতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটিকে তাই আমরা খুব গুরুত্বসহকারে নিচ্ছি। আশা করি আমরা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবো।’
টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটের সঙ্গে এখনো সে অর্থে মানিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। হয়ে যাওয়া ৫১টি ম্যাচে নীচের সারির র্যাংকিংধারী দল হংকং, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের অতীত পর্যন্ত আছে বাংলাদেশের। সে কারণেই এশিয়া কাপের এই আসরে অস্তিত্ব রক্ষায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ইতিবাচক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ দল, একই পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অবতীর্ণ হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাশরাফিÑ ‘টি-২০ ক্রিকেট বলে কথা। এখানে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। ভারতের বিপক্ষে যেসব পরিকল্পনা ছিল আমাদের, আমিরাতের বিপক্ষে সেরকম পরিকল্পনাই থাকবে। কেননা টুর্নামেন্টে ফিরতে আমাদের জন্য এই ম্যাচ তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা ভালো ক্রিকেট খেলার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ জয়। প্রথম ম্যাচে দূর্ভাগ্যবশতঃ আমরা তা করতে পারেনি। এই ম্যাচেও আমাদের ফোকাসটা সেভাবেই থাকবে। একই পরিকলপনায় খেলব।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত একেবারে হেলা-ফেলার পাত্র নয়। আইসিসির টি-২০ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ওপরে থাকা আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাছাইপর্বের বাধা টপকে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে দলটি। বাছাইপর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে আরব আমিরাত। দলটির ব্যাটিং এবং বোলিং লাইনআপও সমীহ করার মতো। দলভর্তি অপেশাদারী ক্রিকেটারদের সমাবেশ। এখানেই আরব আমিরাতকে শিক্ষা দিতে চান মাশরাফি। পেশাদরী দলের মতো খেলে আমিরাতকে সব ডিপার্টমেন্টে পর্যুদস্ত করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিÑ ‘আরব আমিরাত তাদের লেভেলের সেরা ক্রিকেট খেলেই এখানে এসেছে। আমাদের উচিত হবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে পারফরম্যান্স করা। ম্যাচটা জেতা। আগেও বললাম, কালকে আমরা একটি মূহূর্ত পর্যন্ত ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আশা করছি এই ম্যাচের পুরোটা সময়ই আমাদের ভালো কাটবে।’
চেনা প্রতিপক্ষ নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। আইসিসি’র টি-২০ র্যাংকিংয়ে ১৫তম স্থানে থাকা দলটির সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা না থাকাই স্বাভাবিক। তবে বাছাইপর্বে দলটির ম্যাচগুলোর ভিডিও ক্লিপিংস দেখে মরুর দেশ থেকে আসা দলটির শক্তি, দূর্বলতা সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়কÑ ‘আমরা ওদের কিছু ভিডিও ক্লিপস দেখেছি। যতটুকু ধারণা পেয়েছি, তার মধ্য থেকেই ওয়ার্কআউট করছি।’
টুয়েন্টি-২০তে দল হিসেবে এখনো ধারবাহিক হতে পারেনি বাংলাদেশ। দলগতভাবে অভিজ্ঞ বাংলাদেশ, তা বলার উপায় নেই। সর্বশেষ ম্যাচে যে দলটি খেলেছে, সর্বসাকূল্যে তাদের ম্যাচ সংখ্যার সমষ্টি ২৩১টি। দলটির খেলোয়াড়দের ম্যাচ সংখ্যার গড় ২১। এমন একটি দল ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে টি-২০তে। পরিবর্তন এসেছে চিন্তাধারায় এবং মানসিকতায়, তাতেই টি-২০তে অন্য এক বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মাশরাফিÑ ‘অন্য দলগুলোর বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ৫০ এর উপর ম্যাচ খেলেছে। আমরা খেলেছি সেখানে অনেক কম ম্যাচ। তারপরও আমরা ঠিক পথে আছি। টি-টোয়েন্টি এমন নয় যে প্রত্যেকদিন ভালো খেলা সম্ভব। এই ফরমেটের ক্রিকেটে রাতারাতি পরিবর্তনও কঠিন। আগে আমরা চিন্তা করতাম, এই ফরমেটের ক্রিকেটে আমরা ভালো খেলতে পারি না। সেই চিন্তা- ভাবনাটা এখন পরিবর্তন হয়েছে।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আশরাফুলের (১০৯) হাত ধরেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ওই ব্যাড বয়ের অধিনায়কত্বেই এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম তিনশ’র স্কোর দেখেছে। এশিয়া কাপে ৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়টিও পেয়েছে বাংলাদেশ ওই ম্যাচে। টি-২০তে ঘুঁরে দাঁড়ানো অধ্যায়ে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল নুতন করে চেনাতে চায় বিশ্বকে প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পেয়েই সেই কাজটির সূচনা করার শপথ এখন বাংলাদেশ দলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।