Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে রুট বদল করছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে রুট বদল করছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট সড়কপথে তৎপর থাকায় ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট রুট পরিবর্তন করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে এবং সাগরপথে এখন পাচার করা হচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান।
পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইয়াবা পাচারকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা গেলে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
টেকনাফে বিজিবি-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ সাগরপথে ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে ইয়াবা পাচারের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ‘সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির সতর্কতা আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে পাচারকারীরা রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।’
তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রæয়ারি টেকনাফের জাইল্ল্যারডিয়া ও নাফ নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৪ কোটি টাকা মূল্যমানের ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছেন বিজিবি সদস্যরা। এসব ইয়াবার চালান ফিশিং বোটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা ফিশিং বোটের পেছনে ধাওয়া করলে পাচারকারী চক্র সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করে পালিয়ে যায়।
কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, গত ১০ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৫টার দিকে গভীর সমুদ্রের একটি ফিশিং বোটকে ধাওয়া করে আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়। পরে ওই ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি টাকা মূল্যমানের ৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় ইয়াবা পাচারে জড়িত ৩ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের নজরদারি ফাঁকি দিয়ে একাধিক ইয়াবার চালান তাদের পূর্বনির্ধারিত পয়েন্টে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু ইয়াবার চালান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ছে।’
এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ইয়াবা পাচারকারীদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানান, মিয়ানমার থেকে পাহাড়ি পথ ধরে ডেইলপাড়া, পাতাবাড়ি, ডিগলিয়াসহ ৮টি পয়েন্ট দিয়ে সরাসরি রামু বাইপাস দিয়ে বাস টার্মিনাল হয়ে চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।
উখিয়া থানার অফিসার-ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান, ‘ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে কাজ করছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়া

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ