Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার = পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কি না?

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

উখিয়া উপজেলার মধ্য রতœাপালং বড়–য়া পাড়া গ্রামে একই বাড়িতে বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে যেকোন সময় জবাই করে ৪ জনকে খুন করা হত্যাকারি একজন হওয়ার আশংকা খুব বেশি। চট্টগ্রাম থেকে আসা ফরেনসিক এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থলে যে পায়ের ছাপ পেয়েছে, সেগুলো শুধু একজনের পায়ের ছাপ বলে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার কাছে তারা মন্তব্য করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রমতে, উখিয়ার চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার হত্যাকান্ড প্রাথমিক ধারণায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে। হত্যাকান্ডের অনেক ক্লু ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এসব ক্লু প্রকাশ করছে না।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের ধারণা, খুন হওয়া রোকন বড়–য়ার স্ত্রী মিলা বড়–য়া (২৫) সুন্দরী হওয়ায় হয়ত নারীঘটিত কারণেও এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তাদের মতে, মিলা বড়–য়া খুবই রক্ষণশীল ছিলো। রোকন বড়–য়ার পরিবার আগে খুব একটা স্বচ্ছল না হলেও রোকন বড়য়া কুয়েত যাওয়ার পর তার পরিবার আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল হয়ে ওঠে।

এদিকে, উখিয়া থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের মোটিভ উদঘাটনে খুন হওয়া সনী বড়–য়া’র পিতা শিবু বড়–য়া ও তার স্ত্রী, তাদের বাড়িতে থাকা একজন ড্রাইভারসহ মোট ৫ জনকে বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উখিয়া থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। উখিয়া থানা কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পর তাদেরকে রাতে ছেড়ে দেয়া হয় বলে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডারের বিষয়ে মামলা দায়ের এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুন হওয়া ৪ জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

এদিকে কুয়েত প্রবাসী রোকন বড়–য়া বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টার ফ্লাইটে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য রওয়ানা হয়েছেন বলে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়–য়া পিন্টু জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর রোকন বড়–য়া শুক্রবার সকাল ১০ টার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছেন। এরপর তিনি বাড়ির উদ্দ্যেশে রওয়ানা হন।

এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে আসা সিআইডি’র ফরেনসিক এক্সপার্ট টিমের লোকজন বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে সংরক্ষণে রেখেছেন। শুক্রবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা হত্যাকান্ড সম্পর্কে প্রাথমিক মতামত দিতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।
প্রসঙ্গত, উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের মধ্য রতœাপালং বড়–য়াপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে একটি বাড়িতে একই পরিবারের জবাই করা ৪ জনের লাশ পাওয়া যায়। লাশগুলো হল- মৃত প্রবীণ বড়–য়ার স্ত্রী সখী বড়–য়া, সখী বড়–য়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসী রোকন বড়–য়ার স্ত্রী মিলা বড়–য়া, মিলা বড়–য়ার ছেলে রবীন বড়–য়া, মৃত প্রবীণ বড়–য়ার আরেক ছেলে শিবু বড়–য়ার কন্যা সনী বড়–য়া।
খুনের খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির ছাদের সিঁড়ি দিয়ে নীচে প্রবেশ করে ৪টি জবাই করা লাশ দেখতে পায়। পরে তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ