পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিশ্ব পরিম-লেও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। তাই মনে রাখতে হবেÑ একজন সৈনিক আমৃত্যু সৈনিক। সৈনিক জীবনে শৃঙ্খলাবোধ আর আনুগত্যের বিকল্প নেই। সেবা ও কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জনগণের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সমগ্র জাতির আস্থা অর্জন করেছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জনকল্যাণমূলক কাজে অবদান রাখতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট সেন্টার রাজশাহী সেনানিবাসে ১২তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন এবং দ্বিতীয় বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার বিষয়। বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী গঠনে আধুনিক প্রশিক্ষণব্যবস্থা অনস্বীকার্য। সে লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। রিক্রুট ও প্রশিক্ষণকে আরো আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের উচ্চ শিক্ষারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন সেনাবাহিনীর সকল সদস্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা অর্জন করছে। একই সাথে সেনাবাহিনীতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।
তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি কুমিল্লা আর্মি অ্যাকাডেমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কথা স্মরণ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন সৈনিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করবে, কিন্তু মনে রাখবে যে, কোনো ভালো মানুষ যেন তোমাদের কোনো ভুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
এর আগে বেলা পৌনে ১টায় প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্যারেডে আসেন। সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর দুপুরে তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, নৌ বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতকে রফতানি বাধা দূর করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্ক সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্ক সংক্রান্ত বাধার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই ভোগান্তি দূর করতে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে কালো দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন তোফায়েল আহমেদ।
হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক অন্যান্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। সামনের দিনগুলোতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারেরর বিনিয়োগ এখন পাইপলাইনে আছে। আশা করছি এই বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখন রফতানিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতিবছরই রফতানি বাড়ছে। ভারতে আমাদের প্রচুর পণ্য রফতানি হয়। বর্তমানে ভারতের বাজারে ৭০০ মিলিয়র ডলারের পণ্য রফতানি করা সম্ভব। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য ‘ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ার’ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, সিয়েট একে খান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যতীব্রত ব্যানার্জি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) অভিজিৎ ব্যানার্জি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।