পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নিপীড়নে পুলিশ জড়িত ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করবে মিয়ানমার সরকার। মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চালানো নৃশংসতার অভিযোগ নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন প্রতিশ্রুতির পর দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। মিয়ানমার পুলিশ কর্মকর্তা মায়ো থো সোয়ে জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অঞ্চলটিতে কী ঘটেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এ প্রতিবেদনে আনীত অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অত্যন্ত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আমরা জানি, এধরনের কিছু সেখানে ঘটেনি। পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, রাখাইন রাজ্যে জঙ্গি দমন অভিযান চলাকালে মুসলিমদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশ হলে পৃথকভাবে পাঁচজন পুলিশকে দুই মাসের আটকাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত তিন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছে, মিয়ানমারে নিপীড়নের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করার ঘটনা খুবই বিরল অথবা এধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছ তদন্ত হয় না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের হত্যা, ধর্ষণ ও গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ায় জড়িত ছিল। এ ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগোষ্ঠী নির্মূলের প্রচেষ্টা বলে চিহ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক দফতর। এদিকে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। বরং সেখানে একটি বৈধ বিদ্রোহ দমন অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে দেশটি। গত বছরের ৯ অক্টোবর দেশটির সীমান্তের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে নয় পুলিশ সদস্য হত্যার পর এ অভিযান শুরু হয়। উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারীদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আনীত নৃশংসতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত দল গঠন করা হচ্ছে বলে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায়। সপ্তাহের শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রোহিঙ্গা অঞ্চলে বিদ্রোহ দমন অভিযান চলাকালে পুলিশ বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বেআইনি কোনো কার্যক্রম চালিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করা হবে। যারা এ নির্দেশ মানতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সেনাবাহিনী পরিচালিত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।