Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ আইনমন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা আমাদের সম্মানহানি করেছে সেই বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলব। কানাডা তখন আমাদের অসহযোগিতা করেছিল। আমি যখন নথিপত্র নিয়ে এসেছিলাম, তখনই বুঝেছিলাম এ মামলার ভিত্তি নেই। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে মার্কস মেডিকেল কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের মর্যাদাহানি করতে যে চেষ্টা হয়েছিল, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এখানে মর্যাদার সঙ্গে এখনও বেঁচে আছি। আমাদের একজন সচিবকে জেল খাটতে হয়েছিল, একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে, আমি অনুরোধ করব সেই দুই ভদ্রলোককে তারা যেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বলেন, ওকাম্পো সাহেব বিশ্বব্যাংকের হয়ে তদন্তে দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু ইউরোপীয় কোর্ট দুর্নীতির মামলা করেছে। দুর্নীতি করেন তারা আর তার খেসারত দিতে হয় আমাদের গরীব দেশ হিসেবে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আইনজীবী থাকাকালীন সময়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের তদন্ত বিশেষজ্ঞ তিনজন, এরমধ্যে একজন ছিলেন প্রসিকিউটর ওকাম্পো, একজন হংকংয়ের আর অন্যজন যুক্তরাজ্যের। তারা তখন বাংলাদেশে এসে আমাদের সঙ্গে বসলেন। বসার পরেই বলেন ওমুককে এফআরআই-এ নাম দিতে হবে, তমুককে এটার মধ্যে ঢুকাতে হবে। আমি বললাম, আপনারা আমাদের জন্য যেসব কাগজপত্র দিয়েছেন, সেইসব কাগজপত্র ছাড়া কি আপনাদের কাছে কিছু আছে। তারা তখন বললেন, না। তখন বললাম, তাহলে ওমুককে আর তমুককে ঢুকানো যাবে না, তদন্ত করা হবে। তখন তারা রাগান্বিত হয়ে কিছু না করতে পেরে চলে গেলেন। তারপর আমাদের তদন্তও চললো, তারা কানাডায় গিয়ে আরেকটা মামলা করলেন। এর কারণ যেই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কোম্পানি কানাডিয়ান কোম্পানি এসএমসি লাভালিন।
আইনমন্ত্রী বলেন, একমাস পরে আমি কানাডা যাই, আমি যেদিন বিমানে উঠি সেই সময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেন আমাকে মেসেজ করলেন, তুমি যে কানাডা যাচ্ছ, তোমার সঙ্গে কানাডিয়ান সরকারের কোনো লোক দেখা করবে না, কথা বলবে না, টেলিফোনও করবে না। আমি তখন প্লেনে ওঠার মতো অবস্থায়। আমি কিন্তু সেই মেসেজটা সেভ করে রেখে দিয়েছি। আমি তখন তাকে বললাম, এখন এগুলো বলে কিছু হবে না আমি কানাডা যাব। আমি কানাডা গিয়েছিলাম। কানাডা থেকে সব কাগজপত্র যা যা ওখানে হয়েছিল সেগুলো এনেছি। তখনই আমি দেখেছিলাম এই মামলাটার কোনো সারবত্তা নেই। তিনি বলেন, আমাদের ক্ষতি হয়েছে কি না জানি না, আমাদের লাভই হয়েছে বলে আমি মনে করি। নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় একটি প্রকল্প আমরা করতে পারি সেটার প্রমাণ হয়েছে, পদ্মাসেতু হচ্ছে। আর বিশ্বব্যাংক কাগজপত্রের ভিত্তিতে যে কিছু করে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা কয়েকজন লোকের স্বার্থের জন্য এগুলো করেছে।
মার্কস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক মাসুদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সানাল, মার্কস গ্রুপের চেয়ারম্যান বেগম ফরিদা মাসুদ খান, মার্কস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন, মার্কস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপক ডা. ইকবাল মাসুদ খান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বব্যাংক

১২ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ