পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : চারটি অঞ্চল ও আটটি পরিচালন বিভাগে উন্নীত হচ্ছে রেল। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কী পরিমাণ লোকবল ও অবকাঠামো প্রয়োজন তা নিয়ে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা জানান, এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাড়বে যাত্রী সেবার মান। নতুন নতুন পদ সৃষ্টি হবে, পদোন্নতি হবে, তাতে রেলকর্মীদের মনোবলও বাড়বে।
ব্রিটিশ আমলে রেলওয়েকে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল জোনে ভাগ করা হয়। শুরু থেকে দুটি অপারেটিং জোন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল এবং চারটি বিভাগের মাধ্যমে চলে আসছে রেলওয়েরে কার্যক্রম। বিভাগগুলো হলো, পূর্বাঞ্চলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলে লালমনিরহাট ও পাকশী। পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর চট্টগ্রামে এবং পশ্চিমাঞ্চলের সদর দপ্তর রাজশাহীতে অবস্থিত।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়েকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেন্দ্রীকরণ করাসহ আরও দুটি অঞ্চল করার নির্দেশনা দেন। ২০১৪ সালে রেলভবন পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে থাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে। একটি কমিটি রেলওয়েতে চারটি অঞ্চল ও পাঁচটি নতুন পরিচালন বিভাগ করার সুপারিশ করে। ওই সুপারিশ পর্যালোচনা করে অপর এক কমিটি জানায়, এতে ব্যয় বাড়বে। লোকসানে পড়বে রেল। এ কারণে আটকে যায় বিকেন্দ্রীকরণের সেই উদ্যোগ।
সূত্র জানায়, অপর একটি কমিটি রেলওয়েকে চারটি অঞ্চল এবং আটটি পরিচালন বিভাগে ভাগ করার একটি প্রস্তাবনা তৈরী করে। ওই প্রস্তবনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এটি রেলমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে। গতকাল রোববার তা রেলমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। জানতে চাইলে রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোজাম্মেল হোসেন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, প্রস্তাবনাটি জমা দেয়া হয়েছে কি না আমি জানি না। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বলতে পারবে।
সূত্র জানায়, ওই প্রস্তাবনায় রেলওয়েকে চারটি অঞ্চল ও আটটি বিভাগে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিণ নামে আরও দুটি নতুন অঞ্চল করা হবে। উত্তরাঞ্চলের সদরদপ্তর হবে ময়মনসিংহ এবং দক্ষিণাঞ্চলের ফরিদপুর। এতে সামগ্রিক ব্যয় তেমন বাড়বে না দাবি করে কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিকেন্দ্রীকরণ হলে আরও গতিশীল হবে রেলওয়ে, বাড়বে যাত্রী সেবার মানও। প্রস্তাবনায় ১৫ হাজার অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের পাশাপাশি নতুন অবকাঠামো নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, দুটি নতুন অঞ্চল ও চারটি নতুন বিভাগ হলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন নতুন পদ সৃষ্টি হবে। আর পদ সৃষ্টি হলে পদোন্নতি হবে। তাতে রেলকর্মীদের মনোবলও বাড়বে। ওই কর্মকর্তা বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেল অনেকটা দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে রেলের আরও অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। সে কারণেই এর বিকেন্দ্রীকরণ জরুরী হয়ে পড়েছিল। আর এটা হলে রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান বহুগুনে বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা দেশে ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। রেলওয়ের উন্নয়নে গৃহীত মাস্টারপ্ল্যন বাস্তায়িত হলে ভবিষ্যতে তা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।