Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাঙ্গুনিয়া বাজারে অবৈধ পলিথিনে সয়লাব

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় সর্বত্র নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়েছে। পরিবেশ বিধ্বস্ত পলিথিন সরকার ঘোষিত করলেও উপজেলা জুড়ে একশ্রেণীর দোকানদার নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ব্যবহার করছে। পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ শুধুই কাগজে-কলমে। বাস্তবে কেউই মানছে না এই নিষেধাজ্ঞা।
ফলে প্রতিদিনই এর ব্যবহার বেড়ে চলেছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত বাজারে দোকানগুলোতে একই অবস্থা। কিছু কিনলেই দোকানি একটা পলিথিন ব্যাগে তা ধরিয়ে দেয়। ক্রেতাও খুশি মনে পলিথিন ব্যাগটি হাতে নিয়ে চলে যায়।
উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, দোভাষী বাজার, জিয়া মার্কেট, মরিয়মনগর, চৌমুহনী, রোয়াজারহাট, ইছাখালী, গোডাউন, পোমরা বাজার, শান্তিরহাট, বেতাগী বেপারীহাট, সরফভাটা ক্ষেত্রবাজার, ইত্যাদি চত্বর, শিলক বৃহচক্র হাট, কোদালা বাজার, পদুয়া বাজার, রাজারহাট বাজার, দশমাইল, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়ার শান্তি নিকেতন, হোছনাবাদের মোগলের হাট, ধামাইরহাট, ইসলামপুরের গাবতল, রাজানগরের রানীরহাট বাজার, দক্ষিণ রাজানগর, পারুয়ার শাহাব্দিনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের অলিগলিতে প্রতিদিন বাজারগুলোতে অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোয়াজার হাট বাজারের ক্রেতা মো. মহিউদ্দিন বলেন, আইন প্রণয়নকারী কিংবা প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকেও এ ক্ষেত্রে আলাদা করা যাবে না। কেউ একবার ভেবেও দেখে না এই পলিথিন আমাদের পরিবেশের কতটা ক্ষতি করছে।
কিভাবে আমরা নিজেরাই আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে চলেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। যার ফলে সর্বত্র ব্যবহার হচ্ছে এসব পলিথিন। পলিথিনের অবৈধ ব্যবহাররোধে আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান থাকলেও এখন তা নেই বললেই চলে। ফলে গত কয়েক বছরে নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন বহুগুণে বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম নগরী থেকে প্রতিদিন টনে টনে নিষিদ্ধ পলিথিন রাঙ্গুনিয়ায় আসছে। পাইকারি বিক্রিসহ প্রায় সব হাটবাজারেই প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য হওয়ায়, দাম কম হওয়ায় এবং কোনো বাধা না থাকায় দোকানিরাও যথেচ্ছভাবে সেগুলো ব্যবহার করে চলেছে। আর একবার ব্যবহারের পরই সেগুলো যত্রতত্র ফেলে দেয়া হচ্ছে। সেগুলো পানিবাহিত হয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। ক্রমাগতভাবে পলিথিন ব্যাগ জমা হতে হতে একসময় ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ