Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ পার্কিং বরিশাল লেকপাড়ে মেয়রের নির্দেশ উপেক্ষা

ঝুঁকিতে কোটি টাকার রিটেইনিং ওয়াল

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল মহানগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের স্থাপনা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও উদাসীনতায় ক্রমাগত বিনষ্ট হচ্ছে। হুমকির মুখে মহানগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনী সংলগ্ন বরিশাল- ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশের লেকটির রিটেইনিং ওয়ালসহ এর সৌন্দর্য বর্ধনের অবকাঠামোসমূহ। অথচ খোদ সিটি মেয়র এ লেকটির সৌন্দর্য রক্ষায় নিরাপত্তা প্রহরী পর্যন্ত নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে নির্দেশটি আমলে নেয়নি নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রতিদিনই লেকটির ধারে একাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে লেকটির পাশের রিটেইনিং ওয়ালটির ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গত এক বছরে এর ওয়াল প্রায় ৩ ইঞ্চি সরে গেছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘৪ লেন প্রকল্প’র আওতায় চৌমহনী সংলগ্ন লেকটির পূর্ব পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজে প্রায় ৭৫ লাখ টাকায় সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নকশা ও নির্মাণ ত্রুটির কারণে ওয়ালটির একটি বড় অংশই লেকের পানির দিকে কিছুটা সরে যাওয়ায় এর ঝুঁকিপূর্ণ অংশের পানির তলায় ভীত সন্নিহিত এলাকায় আরসিসি পাইল স্থাপনসহ রড দিয়ে টানাও দেয়া হয়। যাতে ব্যয় হয়েছে আরো কয়েক লাখ টাকা। ঝুঁকি কিছুটা স্থিতিশীল হলে রিটেইনিং ওয়াল সংলগ্ন রাস্তার ধারে আলোকসজ্জা, ভ্রমণার্থীদের জন্য বেঞ্চ স্থাপন, এসএস পাইপ দিয়ে রেলিং এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্য বর্ধন কাজটিও সম্পন্ন হয়। যাতে ব্যয় হয়েছে আরো অন্তত ৫০ লাখ টাকা।  লেকটির দক্ষিণ পাড়েও অনুরূপ স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় হয় আরো প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
২০১৬ সালের শুরুতে এসব কাজ শেষ হলেও এর রিটেইনিং ওয়াল-এর ঝুঁকি থেকেই যায়। ঝুঁকির মধ্যেই বড় বড় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঐ স্থানেই পার্কিং করছে দিন-রাত। ফলে গত এক বছরে ওয়ালটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ পানির দিকে আরো অন্তত ৩ ইঞ্চি সরে গেছে।
ফলে পুরো প্রকল্প এলাকাটি এখনো ঝুঁকির মুখে। নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকটি বর্ষার পরেই লেকটির পূর্ব পাড়ের রিটেইনিং ওয়ালের বড় অংশই কাঁৎ হয়ে পড়বে।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সিটি মেয়রের দৃষ্টি  আকর্ষণ করেছেন। তিনি ঐ এলাকায় নগর ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করে সব ধরনের পার্কিং বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আরো বছরখানেক আগে। কিন্তু সে আদেশটি পালনে আন্তরিক হয়নি নগর ভবনের প্রশাসনিক বিভাগ। ফলে অনিয়ম বন্ধ হয়নি। গতকাল (বুধবার) সকালে বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের পুনরায় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ প্রদানের কথা জানান। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ এলাকায় পুরনো চিত্রই চোখে পড়েছে।  দেখা মেলেনি সিটি করপোরেশনের কোন নিরাপত্তা কর্মীর। তবে পাথর বোঝাই দুটি বড় ট্রাকসহ অন্তত ৭টি পণ্যবাহী যান লেকটির রিটেইনিং ওয়ালের কোল ঘেঁষে সন্ধ্যা পর্যন্তই দাঁড়িয়েছিল নির্বিঘেœ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবৈধ পার্কিং
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ