পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ৭ মুসলিম দেশে জারি করা সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষদের টার্গেট করে করা হয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালত। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৭ দেশ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, এমন অভিযোগের পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সপ্তাহান্তে আপিল আদালতে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে রুল জারির কথা রয়েছে। গত মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে মার্কিন বিচার বিভাগ। সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক নাইনথ্ ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলসে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে ১৫ পৃষ্ঠার যুক্তিতর্কে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয় জানিয়ে এটি প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার আইনসম্মত ব্যবহার বলে দাবি করা হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন জানানো হয়। এক পর্যায়ে সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতের বিচারপতি রিচার্ড ক্লিফটন জানতে চান, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে যদি বিশ্বের মাত্র ১৫ শতাংশ মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে একে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলা যাবে কিনা। এদিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৭ দেশ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, এমন অভিযোগের বিপরীতে সরকারের হাতে তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওই নির্বাহী আদেশে পরবর্তী চারমাসের জন্য সব ধরনের শরণার্থীদের ওপর আরোপ করা হয়। পরবর্তী তিন মাসের জন্য সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। সিয়াটলের ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস রবার্টসন ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেন। আদালতের আদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সাত দেশ ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন, বৈধ ভিসাধারী নাগরিকরা পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পায়। তবে স্থগিতাদেশের একদিন পরই এর বিরুদ্ধে আপিল করে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। আপিলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আবেদন জানানো হলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। গত সোমবার ওই নষেধাজ্ঞার ব্যাপারে হোয়াইট হাউস ও বিচার বিভাগকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার সুযোগ দেয় আপিল আদালত। অপর এক খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পক্ষে সোমবার রাতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি বলা হয়, ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিরপেক্ষভাবে ওই নির্বাহী আদেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্র্রাম্পের মুসলমানদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনাও করেন ওয়াশিংটন রাজ্যের আইনজীবী পুরসেল। তিনি আদালতে ট্রাম্পের উপদেষ্টা রুডি জুলিয়ানির একটি বক্তব্যের বিষয়েও উল্লেখ করেন। জুলিয়ানি বলেছিলেন, তাকে মুসলমানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বৈধ একটি পথ খুঁজে বেরতে বলা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ক্লিফটন বলেন, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা মাত্র সাতটি দেশের ওপর এবং ওবামা প্রশাসন ও কংগ্রেস সন্ত্রাসী হামলার হুমকি বিবেচনায় ওই দেশগুলোকে সনাক্ত করে গেছে। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।