Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমার বিজিপির গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত নুরুল আমিন (২৬) টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার কবির আহমদের ছেলে। গুলিবিদ্ধ মর্তুজা হোসেন (২৪) একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে দুই নম্বর সøুইস গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় তাদের সাথে থাকা আবদুল হাকিম জানান, সোমবার ভোরে প্রতিদিনের ন্যায় নাফনদীতে  মাছ শিকারে যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ বিজিপির ছয়-সাতজন সদস্য একটি স্পিডবোটে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে গুলি ছুড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন নুরুল আমিন ও মর্তুজা হোসেন, তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
পরে তিনি গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শোভন দাশ বলেন, বুকে গুলি লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই নুরুল আমিনের  মৃত্যু হয়। মর্তুজা হোসেনের পিঠে গুলি লেগেছে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, এ বিষয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে যোগাযোগ করা হলে সেদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই নৌকাটি মিয়ানমারের বিজিপি থামতে বলার পরও না থামায় মাদক চোরাচালানী সন্দেহে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় বলে বিজিবিকে জানিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যদিও দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী সন্দেহভাজন চোরাকারবারীদের গুলি না করে গ্রেফতার করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের বিজিপি এটি মানেনি বলে জানায় বিজিবি।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে বলেন জানান কর্মকর্তারা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি অপারেশন শফিউল আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ