পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : স্টেশন যতো ছোট-ই হোক ট্রেন দাঁড়াতে হবে। লোকাল, মেইল এরপর আন্তঃনগর। কথা নেই, বার্তা নেই, হঠাৎ করে একদিন চার পাঁচজন মানুষ লাল কাপড় নিয়ে রেল লাইনে দাঁড়ালেই হলো। অজানা আশঙ্কায় চালক ট্রেন থামাতে বাধ্য। এভাবে কয়েকদিন এক নাগারে ট্রেন থামাতে পারলেই কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। তখন ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এটাকেই বলা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় ট্রেনের যাত্রাবিরতি করা হয়। রেলভবনের একজন কর্মকর্তা বলেন, সারাদেশেই বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবির ধরণ একই রকম। বিরতিহীন স্টেশনে বারবার একটা ট্রেন দাঁড় করালে ট্রেনের সিডিউল যেমন বিপর্যস্ত হয়, তেমনি যাত্রীদের হয়রানিও বাড়ে। এভাবে দাবির মুখে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিলে কোনো ট্রেনই আর আন্তঃনগর থাকবে না, হয়ে যাবে লোকালের মতো। তখন আবার উল্টো রেলেরই দোষ হবে। যেমন কয়েকদিন আগেও একটি পত্রিকা লিখেছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি নাকি নির্ধারণ হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়।
গত কয়েকদিন ধরে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার আহসানগঞ্জ রেল স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেস থামানোর দাবিতে এমনি আন্দোলন চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন আসার সময় হলেই স্থানীয়রা রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে যায়। তারা লাল পতাকা উড়িয়ে ট্রেন থামানোর সঙ্কেত দেয়। চালক বাধ্য হন ট্রেন থামাতে। এরপর ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তব্য রাখেন। গতকাল সোমবারও দ্রুতযান ওই স্টেশনে থামানো হয়। প্রায় ৩৫ মিনিট বিরতির পর ট্রেনটি আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এর আগে গত রোববারও দ্রুতযান এক্সপ্রেসকে আধা ঘন্টারও বেশি সময় আটকে রাখে স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবারও একই কর্মসূচি দিয়ে রেখেছে স্থানীয়রা। আজ তারা এক ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে রাখার হুমকী দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান বলেন, এভাবে তারা ট্রেন থামাবে কেন? একটা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি চাইতে হলে লিখিত আবেদন করতে পারে। আবেদন পেলে আমরা তাদের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখতে পারি। রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে অবরোধ করা তো অপরাধ। তিনি বলেন, এভাবে দাবি মানতে থাকলে ট্রেনের গতি থাকবে না। সব ট্রেনই লোকাল হয়ে যাবে। তাতে যাত্রীদেরই কষ্ট হবে।
জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতির দাবিতে মানববন্ধন ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সে সময়ও দেখা গেছে, ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস আহসানগঞ্জে পৌঁছলে মানুষজন রেল লাইনে অবরোধ করলে চালক ট্রেন থামাতে বাধ্য হন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, এর আগে একইভাবে রেলপথ অবরোধ করে নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি নেয়া হয় আহসানগঞ্জ স্টেশনে। ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস গভীর রাতে (রাত ২টার পর) আহসানগঞ্জ স্টেশনে থামে। তখন স্টেশনে মানুষজন থাকে না বললেই চলে। দু’একজন যাত্রী থাকলেও তাদের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না। কিন্তু অবরোধের মুখে রেল কর্তৃপক্ষ সেখানে নীলসাগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে বাধ্য হয়।
ঢাকামুখী আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান সান্তাহার থেকে ছেড়ে নাটোরে যাত্রাবিরতি করে। সান্তাহার থেকে নাটোর পৌঁছার মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে আহসানগঞ্জ স্টেশন। রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, নীল সাগরের অভিজ্ঞতা থেকেই সেখানে আর আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপরেও এলাকাবাসী আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তা অবশ্যই বিবেচনা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।