চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
মিযানুর রহমান জামীল
॥ শেষ কিস্তি ॥
বিনা অপরাধে, বিনা উস্কানিতে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো মার্কিনীদের সেবাদাসে পরিণত হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে খুব বেশি আন্দোলনমুখর হতে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরাইলকে ঘৃণা করলেও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর।
ফিলিস্তিনি ভূমি জোর করে দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করার পর থেকে ফিলিস্তিনীরা তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে। ১৯৬৪ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠন (পিএলও’র) প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে ফিলিস্তিনীরা। ইয়াসির আরাফাতের ইন্তেকালের পরও এখনো স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে চলেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীরা।
ইসরাইলের বর্তমান জনসংখ্যা ৭৪ লাখ ৬৫ হাজার। আমেরিকার মদদে ইসরাইল এখন এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। মুসলমানদের শক্তি হিসেবে বর্তমানে ইসরাইলকে চোখ রাঙ্গিয়ে আসছে ইরান। আর তাই ইরান-ইসরাইল এখন এক রণাঙ্গনের নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম আবার মুছে যাবে। তবে সেটির জন্য দরকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে একতা।
তাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
১/বিশ্বময় শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান। ২/ফিরাউনের মর্মন্তুদ নিপীড়ন থেকে মুক্তি দান। ৩/সমুদ্রের মাঝে রাস্তা সৃষ্টি। ৪/গো বৎস পূজার পর ক্ষমা প্রদান। ৫/তাওরাত প্রদান। ৬/বজ্রপাতে মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দান। ৭/তীহ প্রান্তরে ছায়া ও খাবারের ব্যবস্থা। ৮/যুদ্ধের বিধান অমান্য করার পরও ক্ষমা। ৯/তীহ প্রান্তরে পানির ব্যবস্থা।
ইহুদীদের কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস :
তারা কোনো ধর্মের স্বীকৃতি দেয় না। তাদের বিশ্বাস- পরকালের শাস্তি তাদের জন্য নয়। পরকালের সুখ শান্তিই তাদের জন্য। তাদের বিশ্বাস- উযাইর (আ.) আল্লাহর পুত্র। তাদের বিশ্বাস- হযরত সুলাইমান (আ.) যাদুকর ছিলেন। তারা বলে- আমরা আল্লাহর সন্তান ও প্রিয়জন।
ইহুদীদের সভাব চরিত্র :
গুপ্তচর বৃদ্ধি ও মিথ্যাচার। উৎকোচ গ্রহণ ও হারাম ভক্ষণ। নবী রাসূল ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের হত্যা করা। মুনাফেকী ও কপটতা। অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসাবাদ। কাপুরুষতা ও ভীরুতা। আমানত বা লেনদেনে বেঈমানী ও মিথ্যাচার। রূঢ়তা নিষ্ঠুরতা। না শোকরী ও অকৃতজ্ঞতা। ইহুদীরা যুদ্ধ বাধিয়ে দেয় কিন্তু কখনও প্রকাশ্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় না। অঙ্গীকার ভঙ্গ ও বিশ্বাস ঘাতকতা। তা নিজ ধর্মের অনুসারী ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করে না। তাহরীফ। কথার মোড় ঘুরিয়ে দেয়া। কৃপণতা ও বখিলী। মুসলমানদের প্রতি হিংসা বিদ্ধেষ। আমলহীন উপদেশ। ধর্মান্তকরণ। একে অপরকে অভিযুক্ত করা।
ইহুদীদের ধৃষ্টতা, ষড়যন্ত্র ও পাপ কর্মসমূহ :
ঐশী গ্রন্থের সঙ্গে নিজেদের রচনাকে জুড়ে দেয়া। জান্নাতি খাবার মান্না ও সালওয়া বর্জন। আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ। আল্লাহ সম্পর্কে ইহুদীদের কটূক্তি। আল্লাহকে সরাসরি দেখার অসম্ভব দাবি। আল্লাহ সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ বাক উচ্চারণ। হযরত মরিয়ম (আ.)-এর উপর অপবাদ আরোপ। হযরত ঈসা (আ.) কে হত্যার ষড়যন্ত্র। শনিবার মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ আইন লংঘন। হযরত রাসূল (সা.)-এর সাথে বেয়াদবি। বিশ্ব নবী (সা.)কে হত্যার ষড়যন্ত্র। আহযাব বা খন্দক যুদ্ধ তাদেরই ষড়যন্ত্রের ফসল। মাথার উপর আযাব আসার পরও আল্লাহর বিধানে অস্বীকৃতি। পূর্ববর্তী ঐশী গ্রন্থগুলোয় রাসূলের বিবরণ ও গুণাবলি গোপন করা। মসজিদসমূহ ধ্বংস করা। মুসলমানদের মাঝে কোরআন সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করা। ঈমান হরণের পাঁয়তারা। ইসলাম গ্রহণ না করার খোঁড়া অজুহাত পেশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।