Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তিপণ দাবিতে অপহৃত শিশু জোনাকি উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিপণের দাবিতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে অপহৃত সাত বছরের শিশু জোনাকিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ডেমরার ঘরভাঙ্গা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ঢাকা মেট্রো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না গেলেও সংঘবদ্ধ অপহরণকারি চক্রকে চিহিৃত করা গেছে।
পিবিআইর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রায় ২০ বছর ধরে ডেমরা থানাধীন বাশেরপুল এলাকার তাজমহল রোডস্থ মতিন সাহার ভাড়া বাড়িতে পরিবারসহ বসবাস করছেন মো. স্বপন। গত ১ ফেব্রুয়ারি বাসার পাশের রাস্তায় খেলাধুলা করছিল স্বপনের শিশুকন্যা জোনাকি। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই নিখোঁজ হয় শিশুটি। এ ঘটনায় শিশুর বাবা ওইদিনই ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-৪৩) করেন। ঘটনার রাতে শিশুটিকে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে একটি চক্র। পরদিন শিশুর বাবা বিষয়টি ঢাকা মেট্রো পিবিআইকে অবহিত করে। এরপর পিবিআই’র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরভাঙ্গা এলাকার ব্রিজের সামনে থেকে জোনাকিকে উদ্ধার করে। শিশুটি পুলিশকে জানায়, তাজমহল রোডের ভাড়াটিয়া মহিলা রাবেয়া ভ্যানগাড়িতে করে বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে যায় এবং একটি ঘরের অন্ধকার রুমে সেসহ আরো তিনজন শিশুকে আটক করে রাখে। কান্নাকাটি করলে মারধর ও বিক্রি করে দেবে বলে ভয় দেখায়।
ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য স্বামী পরিত্যক্তা রাবেয়া। ওই নারী ও তার সহযোগীরা কমদামে বাসা ভাড়া নিয়ে শিশুদের টার্গেট করে। সেখানে এক-দুই মাস বাসা ভাড়ায় থেকে টার্গেটে রাখা শিশুটিকে অপহরণ করে। অজ্ঞাত স্থানে মুক্তিপণ আদায় শেষে অপহৃতকে ফিরিয়ে দেয়। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী এবং কদমতলী থানা এলাকায় নিন্ম আয়ের মানুষের ঘনবসতির সুযোগে অপরাধ চক্রের মূল হোতারা বিভিন্ন নারী সদস্যকে ব্যবহার করে শিশু অপহরণ করে। পরে স্থানীয় দালাল চক্র আলোচনার মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে অপহৃত শিশুকে পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। এসব এলাকায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র ভিকটিমের পরিবারকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে মামলা করতে নিরুৎসাহিত করে। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের একাধিক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ