পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সে জাপানী বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কাজে ফিরে এসেছে জাপান। এখানে নির্মিতব্য ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ২৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রকল্প।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রকল্পটির মূল নির্মাণকাজের জন্য জাপানের দুটো প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- জাপানের মারুবিনি করপোরেশন ও সুমিতম করপোরেশন।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় জাপানি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় জাপান এ প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। এর ফলে দরপত্রও বাতিল করা হয়। এখন সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপে তারা আবার ফিরে এসেছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের কারণে জাপানের এই ফিরে আসা। আমরা জাপানে গিয়ে তাদের কাছে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। তাদের এই ফিরে আসা বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি বড় অর্জন ও ইতিবাচক ঘটনা।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। এই নীতি অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রকল্প নির্ভর এলাকা হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি। এমনকি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়নাধীন এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম, ইপিজেড, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে মাতারবাড়ি।
২০১৫ সালের আগস্টে মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যয়ের প্রকল্প।
এই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানি করা হবে। আমদানি করা কয়লা ওঠা-নামানোর জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গেই একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টিও প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে। এরই মধ্যে মাতারবাড়ি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।