পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বাংলাদেশে তিনদিনের সরকারি সফরে আজ বিকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছবেন। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ আল মালকী, প্রধান বিচারপতি মাহমুদ আল হাব্বাশ, প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবুরুদাইনাহ, কূটনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাজদি খালদিসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ মাহমুদ আব্বাসের প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ সফরকালে মাহমুদ আব্বাস প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এ সকল বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করবেন। এ সময়ে দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ কমিশন গঠন সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও, দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয়ে দু’দেশের প্রাধিকারপ্রাপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় করবেন বলে আশা করা যায়।
জানা গেছে, আজ বিকেল ৫টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছবেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদ এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় তার সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাক্ষাৎ করবেন। পরদিন ২ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দুপুর আড়াইটায় তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্ব^র সড়কে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সাথে বৈঠক করার জন্য যাবেন। এছাড়াও মাহমুদ আব্বাস রাতে বঙ্গভবনে তার সম্মানে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত একটি নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আগামী ৩ ফেব্রæয়ারি অপরাহ্নে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিদায় জানাবেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিন দূতাবাসের শার্জ দ্য আফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান বলেন, আমরা দুটি দেশ একে অন্যের ভাই। দুই দেশ ও দুই দেশের মানুষের মধ্যে যে আত্মিক সম্পর্ক সেটি সব ধরনের লোক-দেখানো-আনুষ্ঠানিকতার ঊর্ধ্বে। সব ধরনের প্রটোকলের ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বন্ধুর চেয়েও অনেক বড় কিছু।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ, যে দেশ ইসরায়েলকে তার পাসপোর্টে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। একথা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিটি সদস্য জানে। এজন্য প্রতিটি ফিলিস্তিনির চোখে বাংলাদেশ এক প্রিয় নাম। বাংলাদেশকে এরা সবাই যেমন একনামে চেনে, তেমনি প্রতিটি ফিলিস্তিনি গভীর ভালবাসার টানে জীবনে একবার অন্তত বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে চায়।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এটি বাংলাদেশে প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। সফরকালে তিনি লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করবেন। এর আগে তিনি একবার বাংলাদেশের ওপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সামান্য সময়ের জন্য যাত্রাবিরতি করেছিলেন।
তিনি বলেন, এর আগে ১৯৮৭ সালে প্রথম ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফর করেন আমাদের মহান নেতা ইয়াসির আরাফাত। ২০১৬ সালে মাহমুদ আব্বাস বাংলাদেশে যাত্রা বিরতিকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী তাকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফরে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এ সফর তারই ধারাবাহিকতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।