নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চতুর্থ বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন তিনি। ২০১৩ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচকে শুভেচ্ছা দূত করে ইউনিসেফ। আর ২০০৫ সালে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার সুমন ও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনুকে শুভেচ্ছাদূত করে ইউনিসেফ।
জাতিসংঘ থেকে তার সদস্যভুক্ত দেশগুলো থেকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ করে থাকে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের অনেক তারকাই জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হয়ে থাকেন। মাশরাফি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তারকাদের একজন। শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তাই মাশরাফিকে বেছে নিয়েছে জাতিসংঘ। নতুন এই দূতকে এখন থেকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন কল্যাণ ও সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।
গতকাল (সোমবার) মিরপুরে এশিয়া কাপের জন্য হোম অব ক্রিকেট অনুশীলনের সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টাইগার দলপতি মাশরাফি বলেন, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘ থেকে এ বিষয়ে আমাকে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল এবং আমি তাতে সম্মতি জানিয়েছি।
জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আমার কাজের পরিধি হবে অনেক বড়। ইউনেসকো ও ইউনিসেফের মতো তাদের যে কোনো অঙ্গসংগঠনের হয়েই আমাকে কাজ করতে হতে পারে। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার নয়, পুরো দেশের জন্যই একটা গর্বের ব্যাপার বলে জানান তিনি।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) আয়োজিত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছা দূত হন তিনি।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছিল আলোচনা। তার খেলোয়াড়ি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেক তথ্য নিয়ে যাচাই করা হয়েছে। দেশের সর্বসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা সবকিছুতেই দশে দশ পেয়ে বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে।
মাশরাফি বলেন, জাতিসংঘের ঢাকা অফিস থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাকে জানানো হয়েছে, আমাকে তাদের শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।