চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
জামেয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম
শতাব্দীর প্রাচীনতম ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র চট্টগ্রাম নাজিরহাট জামেয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসার ২ দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন গত শুক্রবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস আলামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ালম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আলামা শাহ আহমদ শফী।
ওয়াজ করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিছ আলামা মো. জুনায়েদ বাবুনগরী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, আলামা আবদুল বাসেত খান, আলামা সলিমুল্লাহ, মাওলানা মোস্তফা নুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা সালাউদ্দীন নানুপুরী, শায়খুল হাদীস বাহরুল উলুম আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা শাহ সিদ্দিক আহমদ, মুফতী হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা ইছমাঈন খান, হাফেজ এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা সালাউদ্দীন দৌলতপুরী, মাওলানা জালাল আহমদ, মাওলানা নুরুল আলম নছিরী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা হাজ্বী ইউছুপ, মুফতী রবিউল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ, মুফতি আবদুল হাকিম প্রমুখ। আল্লামা শাহ আহমদ শফী তার বক্তব্যে বলেন, পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আদর্শ মেনে চললে আলাহতায়ালা বান্দাদের জান্নাত প্রদান করবেন। আল্লাহর এই ওয়াদা রয়েছে। জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর দরবারে তাওবা ইস্তেগফার করা বান্দার দায়িত্ব। তওবা করলে আল্লাহ খুশী হন। যিকির করলে আল্লাহর সন্তষ্টি লাভ করা যায়। তাই সকাল সন্ধ্যা যিকির করতে বলেছেন আল্লাহতায়ালা। যিকিরের দ্বারা অন্তর পরিষ্কার হয়। আল্লাহর অলি হওয়া যায়।
তিনি সকলকে সুন্নতের ওপর আমল করার জন্য আহ্বান জানান। সাথে সাথে সকলকে দৈনিক সকাল সন্ধ্যা একশতবার করে দরুদ শরিফ পড়ার জন্য আহ্বান জানান। সকল অলি বুযুর্গ এই আমল করে থাকেন। যার কারণে আমল কবুল হয়।
আলামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামী বিধান কায়েম করা কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন না করলে আল্লাহ দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, শরিয়ত বিরোধী সকল কার্যকলাপ অবশ্যাই বন্ধ করতে হবে। তিনি মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলামানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জনান। আলামা ইদ্রিস সম্মেলন সফল করায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন
জাতীয় মুসল্লি পরিষদ
সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে তীব্র হুশিয়ারি ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় মুসল্লি পরিষদ। গত ৬ জানুয়ারি জুমুয়া শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে এক মুসল্লি বিক্ষোভ সভা করে সংগঠনটি। বক্তারা বলেন, এ সমাবেশ সারা দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের সংক্ষুব্ধ মনের বহিঃপ্রকাশ। একে আমলে না নিলে সরকার জনসমর্থন হারাবে। বক্তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই সমাবেশের মাধ্যমে জাতির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বক্তারা বলেন, দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র ক্বাবা শরীফে রক্ষিত ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মুসলিম শরীফের হাদীছ শরীফে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহ্ ুআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি আবির্ভূত হয়েছি মূর্তি ধ্বংস করার জন্য। সুবহানাল্লাহ। বলাবাহুল্য দেশের প্রত্যেকটি মুসলমান কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী এ চেতনায় বিশ্বাসী। কিন্তু ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে দেশের মানুষের বিচার চাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন তারা মেনে নেবে না। জাতীয় মুসল্লি পরিষদের উদ্যোগে বাদ জুমাহ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। হাফেজ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের নেতা মুফতী মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা এ আর হেলাল, প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামীক ফন্টের আহ্বায়ক শাহসুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।